আরও দেখুন
গত কয়েক মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ ও নতুন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশের ফলে অ্যাসেটের মূল্যের প্রকৃত দিকনির্দেশনা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। বরং এই অনিশ্চয়তা মার্কেটে অস্থিরতা বাড়িয়েছে এবং ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, গত সপ্তাহে চীনের অর্থনৈতিক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বিবৃতিতে জানা যায় যে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত — মার্কেটের ট্রেডাররা সেটিকে আশার আলো হিসেবে দেখেছে। এই খবর মার্কিন স্টক সূচকের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। ভারতের মতো অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত এই আশাবাদ আরও জোরদার করেছে। তার ওপর, সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যা মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এই সব বিষয় ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার 4.50% থেকে 4.25%-এ নামিয়ে আনার প্রত্যাশা বাড়িয়েছে — হয় মে মাসের বৈঠকে, নয়তো জুন মাসে এটি করা হতে পারে। যদিও বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসের বৈঠকে ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। তবে চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়ে কথা বলে এই সিদ্ধান্তকে ন্যায়সঙ্গত করবেন। কিন্তু যদি পাওয়েল বলেন যে চীনের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে, শ্রমবাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি ক্রমশ কমছে — তাহলে এটি স্টক মার্কেটে স্টকের চাহিদা বাড়াতে পারে এবং সূচকগুলোকে সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আজকের মার্কেট থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়
আমার বিশ্বাস, ফেডের মে মাসের বৈঠকের আগে বিনিয়োগকারীরা খুব সতর্ক থাকবে। এর প্রধান দুটি কারণ আছে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আলোচনা সংক্রান্ত যেকোনো খবরে (ভালো বা খারাপ) তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, ফেডের নীতিগত সিদ্ধান্ত। যদি হঠাৎ করে সুদের হার হ্রাস করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে ফেডের চেয়ারম্যান ও অন্য সদস্যরা অর্থনৈতিক অবস্থা এমন পর্যায়ে দেখেছেন যা এই সিদ্ধান্তকে যুক্তিযুক্ত করে তোলে।
এই প্রেক্ষাপটে, আমি মনে করি ফেডের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত মার্কেটে স্বল্প ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যাবে।
দৈনিক পূর্বাভাস:
#CL (ক্রুড অয়েল ফিউচারস)
সৌদি আরবের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। ট্রেডিং শুরুর সময় মূল্য 4% কমে যায় এবং এখন গ্যাপ পূরণে রিবাউন্ডের চেষ্টা করা হচ্ছে। তেলের দাম 57.80 লেভেল পর্যন্ত উঠতে পারে, এরপর আবার নিম্নমুখী হতে পারে। বর্তমান নেতিবাচক পরিস্থিতি বিবেচনায়, আমি তেলের মূল্য 57.63 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছি, টার্গেট হবে 54.00।
GBP/USD
পেয়ারটি এখনো 1.3255 এর শক্তিশালী সাপোর্টের উপরে কনসলিডেট করছে। 8 মে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং মূল্যকে 1.3140 এর দিকে নিয়ে যেতে পারে। শর্ট পজিশনে এন্ট্রির সম্ভাব্য লেভেল 1.3247।
You have already liked this post today
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।