আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ার 1.1300-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের নিচে দরপতনের শিকার হয়েছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মের্জ নির্বাচিত হওয়ায় ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে ইউরো কিছুটা সহায়তা পাচ্ছে। অন্যদিকে, বুধবার ফেডারেল রিজার্ভ হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা সত্ত্বেও মার্কিন ডলার তাৎপর্যপূর্ণ সহায়তা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি EUR/USD পেয়ারের জন্য একটি অতিরিক্ত ইতিবাচক প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর মানে হচ্ছে, ফেড এখনই সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না। তবে, বাণিজ্য শুল্ক থেকে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ডলার ক্রেতাদের আরও সতর্ক ও রক্ষণাত্মক অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাণিজ্য নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে বোয়িং বিমানের ওপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাতে বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি EUR/USD পেয়ারের ক্রয়ের আগ্রহেও বাধা দিচ্ছে।
আজ ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগ গ্রহণের জন্য মার্কিন সাপ্তাহিক বেকার ভাতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। মার্কিন সেশনের সময় ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্পের একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি, ইসিবির সুপারভাইজরি বোর্ডের সদস্য তুয়োমিনেনের বক্তব্য মার্কেটে ভোলাটিলিটি বাড়াতে পারে।টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ:
যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1265 এর সাপোর্ট লেভেলের নিচে নেমে যায়, তাহলে পরবর্তী গন্তব্য হবে সাইকোলজিক্যাল লেভেল 1.1200। এই লেভেল ব্রেক করা হলে আরও গভীর দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
রেজিস্ট্যান্স লেভেল 1.1375-এ রয়েছে; এর ওপরে 1.1425-এ একটি সাপ্লাই জোন রয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য এই জোনে কনসোলিডেট করতে পারে, তাহলে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে রাউন্ড লেভেল 1.1500, এবং সেখান থেকে গত মাসের উচ্চতা 1.1570 রিটেস্ট করার এবং সম্ভাব্যভাবে 1.1600 পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে পারে।
এখন পর্যন্ত দৈনিক চার্টের অসসিলেটরগুলো নেগেটিভ টেরিটরিতে প্রবেশ করেনি, যার মানে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবুও, স্বল্প সময়ের টাইমফ্রেমে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেখানে অসসিলেটরগুলো ইতোমধ্যে নেগেটিভ জোনে চলে গেছে।
You have already liked this post today
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।