empty
 
 
09.05.2025 11:00 AM
সবাই কি আবারও ট্রাম্পকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে?
আবারও মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে এসেছে, এবং একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের মূল্য তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা থেকে তিনি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির আশা করছেন। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে বেইজিং সম্ভবত কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত এবং উল্লেখ করেন, আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।

This image is no longer relevant

এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময় এসেছে, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে—যার পেছনে আংশিকভাবে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ দায়ী। বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকেরা আলোচনার প্রতিটি ধাপ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, এই আশায় যে দ্রুত কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাবে, যা মার্কেটকে স্থিতিশীল করতে এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।

ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, "আমি মনে করি এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।"

উল্লেখযোগ্য, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এই উইকেন্ডে সুইজারল্যান্ডে চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হে লিফেং-এর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প জানান, যদি এই আলোচনা সফল হয়, তাহলে তিনি চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫% শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করতে পারেন। ট্রাম্প এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, "এটি ঘটতে পারে, আমার মনে হয় সবকিছুই সম্ভব। আমি মনে করি আমরা খুব ভালো একটি সম্পর্কের দিকে যাচ্ছি।"

চীনের সঙ্গে আলোচনা ঘিরে তৈরি হওয়া আশাবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি হয়, এবং বুধবার ফেডের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের পর ডলার আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

তবুও, অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন যে, উভয় দেশের জন্যই দণ্ডমূলক শুল্ক হ্রাস সংক্রান্ত আলোচনা কঠিন হবে। সুতরাং, ট্রাম্পের আশাবাদী সুর সত্ত্বেও সতর্ক আশাবাদ রাখাই যুক্তিযুক্ত। মেধাস্বত্ব সুরক্ষা, বাজারে প্রবেশাধিকার, এবং রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি—এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ওপর গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী মতপার্থক্য এখনো রয়েছে, যা আগে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরের পথেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের আলোচনা পর্বগুলো খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি, এবং ঝুঁকি থেকেই যায় যে উভয় পক্ষ আবারও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হতে পারে।

তবুও, শুধু আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ায় এই আশা তৈরি হয়েছে যে, উভয় পক্ষই সমাধান খোঁজার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। ট্রাম্পের তথ্য অনুযায়ী সম্ভাব্য শুল্ক হ্রাস উত্তেজনা প্রশমনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে এবং ভবিষ্যতের সংলাপের জন্য একটি আরও গঠনমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। তবে আলোচনার সাফল্য শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের পারস্পরিক ছাড় দেওয়ার সদিচ্ছা এবং এমন সমঝোতা খোঁজার মানসিকতার উপর নির্ভর করবে—যা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের এখন মূল্যকে 1.1260 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কেবল তখনই 1.1310 টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে 1.1370 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দকেহা যেতে পারে, তবে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা অর্জন কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1400 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তবে 1.1205-এর কাছাকাছি ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেখানে যদি সাপোর্ট লেভেল খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে 1.1150 এর লো লেভেলের টেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1097 থেকে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যকে 1.3250 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3285-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি ব্রেক করা কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3310 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3212 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3170 এর লো লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এবং সম্ভবত আরও নিচে 1.3125 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.