আরও দেখুন
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পায় এবং 1.3344–1.3357 রেজিস্ট্যান্স জোনের দিকে নতুন করে মুভমেন্ট শুরু করে। এই জোন থেকে একটি রিবাউন্ড হলে সেটি মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করতে পারে এবং মূল্য আবারও কমে 1.3205-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেলের দিকে যেতে পারে। তবে যদি 1.3344–1.3357 এরিয়া ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিকে যায়, তাহলে পরবর্তী 1.3425 লেভেলের দিকে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
সাম্প্রতিক বুলিশ প্রবণতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের ওয়েভের গঠন আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ সম্পন্ন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ আগের সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করেছে, আবার সর্বশেষ নিম্নমুখী ওয়েভও আগের সর্বনিম্ন লেভেল ব্রেক করেছে—যা বিয়ারিশ থেকে বুলিশ প্রবণতায় সম্ভাব্য রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়। তবে ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণা না করলে বা সম্প্রসারিত বাণিজ্য চুক্তির খবর না থাকলে ক্রেতাদের জন্য মূল্যকে 1.3425 লেভেলের ওপরে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে। যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এটি প্রমাণিত যে—বিক্রেতাদের জন্যও এটি করা সহজ নয়। আমার দৃষ্টিতে, সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভটি ছিল একটি ব্যতিক্রম; ক্রেতাদের প্রকৃত শক্তি 1.3344–1.3357 জোনে প্রকাশ পাবে।
বৃহস্পতিবারের সংবাদভিত্তিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের ক্রেতাদের কিছুটা সমর্থন যুগিয়েছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যার ফলে পাউন্ডের ক্রেতারা একটি নতুন—যদিও দুর্বল—আক্রমণ চালাতে পেরেছে, যা শিল্প উৎপাদনের দুর্বল প্রতিবেদন দ্বারা আংশিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এপ্রিল মাসে উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) মাসিক ভিত্তিতে 0.5% হ্রাস পেয়েছে। তবে আমরা আগেই জানি যে দেশটির CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচকও 2.4% থেকে 2.3%-এ নেমে এসেছে। এর ফলে ফেড এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখানে চাপ উপেক্ষা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ট্রেডাররা সুদের হার হ্রাসের দাবি করছে, ট্রাম্প মুদ্রানীতির নমনীয়করণের জন্য চাপ দিচ্ছেন, এবং কেবল জেরোম পাওয়েলই এখনো তার অবস্থানে অটল রয়েছেন— তিনি মনে করে মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তে পারে বলে। তবে সামষ্টিক প্রতিবেদনের সমর্থন ছাড়া পাওয়েল বেশিদিন নিজের অবস্থানে থাকতে পারবেন না। তাই, এই পেয়ারের বিক্রেতাদের এখন দ্রুত ভালো খবর দরকার—যেমন, শুল্ক হ্রাস, বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, বা অন্য কোনো ইতিবাচক খবর। নাহলে ক্রেতারা আবারও মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রত্যাশায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পারে।
৪-ঘন্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য 1.3435-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেল থেকে রিবাউন্ড করেছে, মার্কিন ডলারের পক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এখন 76.4% রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.3118-এর দিকে মূল্য নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। আজ কোনো ইন্ডিকেটরে ডাইভারজেন্স গঠিত হচ্ছে না। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড চ্যানেল এখনো একটি বুলিশ প্রবণতা নির্দেশ করছে। কেবলমাত্র এই চ্যানেল নিশ্চিতভাবে ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে দীর্ঘমেয়াদী বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হতে পারে।
সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী "নন-কমার্শিয়াল" ক্যাটাগরির ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট আরও বুলিশ হয়েছে।
স্পেকুলেটরদের লং পজিশন 3,320টি বেড়েছে, এবং শর্ট পজিশন 1,956টি হ্রাস পেয়েছে। বিক্রেতারা তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। লং ও শর্ট পজিশনের মধ্যকার ব্যবধান এখন 29,000—যা ক্রেতা দের সুবিধাজনক অবস্থান নির্দেশ করে (94K বনাম 65K)।
আমার মতে, পাউন্ডের মূল্য এখনও নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো একটি দীর্ঘমেয়াদী ট্রেন্ড রিভার্সাল সূচনা ঘটাতে পারে। গত তিন মাসে লং পজিশন 65K থেকে 94K-এ পৌঁছেছে, আর শর্ট পজিশন 76K থেকে কমে 65K-এ নেমে এসেছে। ট্রাম্পের অধীনে ডলারের প্রতি আস্থা কমে গেছে, আর COT রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে—ট্রেডাররা এখন ডলার কেনার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয়।
সংবাদ ক্যালেন্ডার: যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
শুক্রবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর কোনোটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। মার্কেট সেন্টিমেন্ট শুধুমাত্র সামান্য মাত্রায় প্রভাবিত হতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের পূর্বাভাস এবং ট্রেডিংয়ের টিপস:
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে 1.3344–1.3357 জোন থেকে রিবাউন্ডের ভিত্তিতে পেয়ারটি বিক্রির সুযোগ ছিল, যেখানে টার্গেট 1.3265 এবং 1.3205। আজও একই রেজিস্ট্যান্স জোন থেকে বিক্রির সুযোগ রয়েছে।
যদি মূল্য 1.3344–1.3357 এর জোন নিশ্চিতভাবে ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, তাহলে 1.3425 পর্যন্ত বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেয়ার কেনার কথা ভাবা যেতে পারে।
ফিবোনাচি লেভেল: