empty
 
 
20.05.2025 07:57 AM
২০ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার জুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল এবং আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হতে পারে, 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এটাই সত্য, কারণ পুরোনো ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট এবং নতুন একটি ট্রেন্ডলাইনের গঠন সেই বিষয়টির প্রমাণ। তবে, যদি আপনি টাইমফ্রেম বড় করেন বা দূর থেকে চার্টটি দেখেন, তাহলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে যে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ারের মূল্য একটি সাইডওয়ে রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। এই পুরো সময়ে মাত্র একবার মূল্য 1.3203–1.3440 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের বাইরে বেরিয়েছিল, তাও খুব স্বল্প সময়ের জন্য।

এখন যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত রেঞ্জের উপরের সীমানার কাছাকাছি চলে এসেছে, তাই যুক্তিসঙ্গতভাবে একটি বিপরীতমুখী মুভমেন্ট এবং এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই ব্রিটিশ মুদ্রার আরেকটি দরপতনের সম্ভাবনা আছে। তবে এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ — বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতেই ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত, যেমনটা সোমবার দেখা গেছে। এই পেয়ারের মূল্য এক মাস ধরে স্থবির ছিল এবং সঠিকভাবে কোনো কারেকশনও ঘটেনি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ট্রেডাররা আবার তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করার জন্য প্রস্তুত। এমনকি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হলেও তা দুর্বল ডলারের কোনো উপকারে আসেনি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছে, যদিও সেগুলোর সবগুলোই প্রকৃতপক্ষে ইউরোর সিগন্যালের তুলনায় দুর্বল সিগন্যাল ছিল। প্রথমে পেয়ারটির মূল্য 1.3329 লেভেল ব্রেক করে, কিন্তু 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি একটি ভুল সেল সিগনাল গঠিত হয়, যা ট্রেডিং সেটআপটিকে নষ্ট করে দেয়। 1.3365 এর ব্রেকআউটও কৃত্রিম ছিল। এই লেভেলের নিচে কনসোলিডেশন হলেও তা কোনো নতুন মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেনি।

ফলে শুধুমাত্র প্রথম বাই সিগনালটি লাভজনক ছিল। দ্বিতীয় ট্রেডটি লোকসানের সাথে ক্লোজ হয়েছে, এবং তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেডটি ব্রেকইভেনে স্টপ লসের সাথে ক্লোজ হয়েছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত, এবং এখনও ট্রেডারদের মধ্যে তার নীতিমালা নিয়ে প্রবল সংশয় বজায় রয়েছে। মনে রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সেটি মূলত ডলারের জন্যই ইতিবাচক — কারণ প্রতিবারই শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণার পর ডলারের দরপতন হয়েছে। এখন, বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের যেকোনো খবরের প্রভাবেই ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ট্রেডাররা এখনও মার্কিন ডলারের উপর আস্থা রাখতে ইচ্ছুক নয়।

মঙ্গলবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে মার্কেটের ট্রেডাররা আবার ডলার বিক্রি করার নতুন অজুহাত খুঁজবে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খবরের অপেক্ষা করবে। প্রতিদিনের মতো আজও কারেন্সি মার্কেটের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

বর্তমানে 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে: 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421-1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580-1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট রেঞ্জ-ভিত্তিক ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো সময় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতে পারেন বা কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির খবর আসতে পারে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি আগেভাগে অনুমান করা সম্ভব নয়।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.