আরও দেখুন
শুক্রবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত অনুমান এবং যুক্তরাজ্যের এপ্রিল মাসের খুচরা বিক্রয় সূচক প্রকাশিত হবে। জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর বিনিময় হারেও কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করা হচ্ছে, আর যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় সূচক ব্রিটিশ পাউন্ডের উপর বেশ দুর্বল এবং স্বল্পস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। যেদিক থেকে দেখা হোক না কেন, আজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই—এমনকি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না।
শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা লিসা কুক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি ফিলিপ লেন ও লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য। তবে আগের মতোই, এই বক্তব্যগুলো এখন আর মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতি ও অবস্থান সম্পূর্ণভাবে স্পষ্ট, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন কেবল একটি মাত্র মূল বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করছে।
আমাদের বিশ্বাস, ট্রেডারদের কাছে এখনো একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্যযুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক আসন্ন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন, কিন্তু এতে ডলারের জন্য খুব কমই সমর্থন এসেছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, অথবা বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থ হন, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি নতুন করে শুল্ক আরোপ ছাড়াও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার নীতিমালার প্রতি ট্রেডারদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যের দিকনির্দেশনা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল দুর্বল সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ইউরোর মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারেনি, কিন্তু ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আজ আমরা উভয় পেয়ারের মূল্যেরই কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। মৃদু বা ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এই মুহূর্তে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার মতো কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।