আরও দেখুন
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা শুক্রবার দিনের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয়েছিল। তবে ক্রেতারা তৃতীয়বারের মতো 1.1609 লেভেল ব্রেক করে মূল্যকে ওপরের দিকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, মার্কিন ডলারের দরপতনের মধ্যেও ইউরোর মূল্য একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জে এসে পৌঁছেছে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন নেতিবাচক প্রতিবেদন আসা প্রয়োজন—আর সত্যি বলতে, আমরা এ নিয়ে সন্দিহান নই। এই সপ্তাহেই ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তাই অপেক্ষা দীর্ঘ হওয়ার কথা নয়।
গত চার মাস ধরে, মার্কিন ডলার কেবল তখনই দরপতনের শিকার হচ্ছে না যখন কোনো শক্তিশালী মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে। বরং মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়ই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ডলার বিক্রি করছে। উদাহরণস্বরূপ, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য না-ও দেন বা নতুন শুল্ক আরোপ না-ও করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অবস্থা এতটাই দুর্বল যে ডলার তবুও দরপতনের শিকার হয়। তাই এই সপ্তাহে যদি পাওয়েল "মাঝারি হকিশ বা কঠোর" অবস্থান বজায় রাখেন, তবুও ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার বেশ কয়েকটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। প্রথম সেল সিগন্যালটি ভুল ছিল, কিন্তু পরবর্তী তিনটি সঠিক ছিল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সিগন্যাল একে অপরের সাথে ওভারল্যাপ করায়, কেবল একটি বাই পজিশন ওপেন করা যায়। 1.1609 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড হয়েছে—গত কয়েক দিনের মধ্যে এটি তৃতীয়বারের মতো রিবাউন্ড—যা একটি উল্লেখযোগ্য দরপতনের সূচনা করে। ফলে দুটি ট্রেড লাভজনক ছিল এবং একটি ট্রেড থেকে লোকসান হয়েছে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যা ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল, এবং মনে হচ্ছে তিনি যতদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকবেন ততদিন এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হবে না। ট্রাম্প এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই মার্কিন ডলারের নিয়মিত দরপতনের জন্য যথেষ্ট। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘাত ডলারের মূল্যের সামগ্রিক গতিপথে কোনো প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনো হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, আল্টিমেটাম দিচ্ছেন, শুল্ক বাড়াচ্ছেন এবং অন্যান্য উচ্চ-প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই মার্কেটের ট্রেডাররা প্রতিদিন ডলার না বিক্রি করলেও, অন্ততপক্ষে মধ্যমেয়াদে তাদের মধ্যে ডলার কেনার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার তুলনামূলক শান্তভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা পারে এবং মূল্য 1.1609 লেভেলের নিচে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। যেহেতু খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাও কিছুটা কমে যেতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1704, 1.1802। মঙ্গলবার ইউরোজোনে শুধুমাত্র গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে, আর যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখন একেবারেই ভিন্ন বিষয়াবলীর ভিত্তিতে ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।