আরও দেখুন
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা এমনকি EUR/USD পেয়ারের চেয়েও শক্তিশালী ছিল। নতুন করে ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার (মানে: ডলারের দরপতন) কারণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সংঘর্ষ নিরসনের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যা পরবর্তীতে উভয় দেশের পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে, অ্যান্ড্রু বেইলি বা জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য কারও মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি।
আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে, খুব সাম্প্রতিক সময়েই ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ও ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার সুযোগ ছিল না। পাওয়েল কংগ্রেসে গত কয়েক মাসে বহুবার দেয়া বক্তব্যই আবার পুনরাবৃত্তি করেন। ট্রাম্পের সমালোচনা, বারবার অপমান, কিংবা সুদের হার কমানোর আহ্বান—এসব তিনি আমলে নেন না। বেইলি তো আর্থিক নীতিমালার প্রসঙ্গই তোলেননি। ফলে, মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘর্ষ প্রশমিত হওয়ার প্রতিক্রিয়াই দেখাতে পেরেছে, সেই সাথে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ট্রাম্পের রাগান্বিত পোস্ট স্ক্রল করেছে।
মঙ্গলবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, যেগুলোতে মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল। প্রথম বাই সিগন্যালটি রাতের বেলায় 1.3518–1.3535 জোনের কাছাকাছি গঠিত হয়। এরপর 1.3580–1.3592 এরিয়া থেকে একটি ফেক বাউন্স দেখা যায় এবং এই জোনটি ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ঘটে। কিছুক্ষণ পর একই এরিয়া থেকে আরেকটি বাউন্স ঘটে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য বহুল প্রত্যাশিত 1.3643–1.3652-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য গত তিন বছরের মধ্যে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রি করে চলেছে কিংবা পরবর্তী নেতিবাচক কোনো খবরের জন্য অপেক্ষা করছে যেন আবারও ডলার বিক্রি করা যায়। যতক্ষণ না মার্কেটের ট্রেডাররা বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ হওয়ার সত্যিকারের কোনো ইঙ্গিত পায় এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ না করেন যা তার ক্ষমতার বাইরে এবং যা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করে তোলে ততক্ষণ সম্ভবত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। ডলারের দর মাঝেমধ্যে বৃদ্ধি পেতে পারে—প্রতিদিনই যে এটির দরপতন হবে এমন নয়—তবে এখন পর্যন্ত ডলারের দর বৃদ্ধির ঘটনা খুবই বিরল বলে দেখা যাচ্ছে।
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ নিম্নমুখী প্রবণতা এখন শেষ হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘর্ষ নিরসন হয়েছে এবং ডলার আরও একটি সহায়ক কারণ হারিয়েছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3740।
বুধবার কংগ্রেসে পাওয়েলের দ্বিতীয় বক্তব্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে এটি প্রথম বক্তব্য থেকে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে খুব একটা ভিন্ন হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অতএব, পেয়ারটির মূল্য 1.3643 লেভেল অতিক্রম করে নির্বিঘ্নে ঊর্ধ্বমুখী হওয়া উচিত।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।