empty
 
 
27.06.2025 08:21 AM
২৭ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল, এবং আটলান্টিকের ওপার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের কোনো ঘাটতি ছিল না।

প্রথমত, ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ফেডারেল রিজার্ভের উপর আক্রমণ শুরু করেন, তবে এর চেয়ে ভালো কিছু করতে না পেরে মরিয়া হয়ে তিনি ফেডের নতুন একজন চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাওয়েলের মেয়াদ আগামী বছরের মে মাসে শেষ হবে, তবে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার পরিবর্তে কাউকে খোঁজার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। এটি খুব একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয় না, কারণ এক বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হতে পারে, তবে পাওয়েল ট্রাম্পকে এতটাই ত্যক্ত-বিরক্ত করে তুলেছেন যে তিনি অন্তত কাগজে-কলমে হলেও যত দ্রুত সম্ভব তাকে সরিয়ে দিতে চান।

দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রান্তিকের চূড়ান্ত জিডিপি সংক্রান্ত অনুমান প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশের পর, কিছু ট্রেডার ধারণা করেছিলেন যে আরোপিত শুল্ক পরিস্থিতিকে খুব একটা খারাপ করে তোলেনি, কারণ আগের প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপি মাত্র 0.2% হারে হ্রাস পেয়েছে। অথচ বিগত তিন বছর ধরে প্রান্তিক ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি 2–3% হারে ছিল। তবে প্রথম প্রান্তিকে চূড়ান্ত জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল 0.5%। এমনকি প্রকাশিত ডিউরেবল গুডস বা টেকসই ভোগ্যপণ্যের অর্ডার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের অত্যন্ত ভালো ফলাফলও ডলারকে দরপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। শুরুতেই উল্লেখযোগ্য যে, 1.3747 লেভেলটি পরিবর্তন করে 1.3763 করা হয়েছে, কারণ তিন বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর বেশ কয়েকটি লেভেল পুনর্নির্ধারণ করতে হয়েছে।

1.3695 লেভেলের আশেপাশে দুটি শক্তিশালী বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। 1.3747 লেভেলের কাছে গঠিত বাই সিগন্যালগুলো চলমান প্রবণতার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করছিল, আর সেল সিগন্যালগুলো শর্ট পজিশন নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। প্রথম ক্ষেত্রেও মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। সুতরাং, সম্ভাব্য চারটি ট্রেডের মধ্যে তিনটিই লাভজনক ছিল।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ডলার বিক্রি করছে অথবা নতুন কোনো নেতিবাচক খবরের জন্য অপেক্ষা করছে যেন তারা আবার ডলার বিক্রি করতে পারে। যতক্ষণ না বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ হওয়ার বাস্তব লক্ষণ দেখা যায় এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন যেগুলো নেয়ার তার এখতিয়ার নেই, এবং যেগুলো ট্রেডারদের আতঙ্কিত করে তোলে ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগের মতোই, মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে এখনো মার্কিন ডলার থেকে দূরে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী বর্তমানে যেসব লেভেল ব্যবহার করে ট্রেড করা যেতে পারে সেগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3763, 1.3814–1.3832।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়, PCE সূচক এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.