empty
 
 
03.07.2025 07:30 AM
ইসিবি আগ্রাসী আর্থিক নীতিমালা থেকে সতর্ক অবস্থানের দিকে যাচ্ছে

This image is no longer relevant

বর্তমানে পর্তুগালের সিনত্রা শহরে বার্ষিক অর্থনৈতিক ফোরাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা বক্তব্য রাখছেন। বক্তৃতাগুলোর বেশিরভাগ তথ্য আগেই জনসমক্ষে এসেছে, তবে কিছু বক্তব্য ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারণের দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড ঘোষণা করেন যে ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির চাপ জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জুনে এটি 2%-এ পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ছয় মাসের মধ্যে প্রথম মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায়, ইসিবি আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থান আগ্রাসী ডোভিশ বা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সতর্ক অবস্থানে স্থানান্তর করছে। লাগার্ড বলেন, "আমাদের সামনে যে পথ রয়েছে, তাতে অনিশ্চয়তা থাকবে, তাই সুদের হার পরিবর্তনে আমরা ভবিষ্যতে অনেক বেশি সতর্ক ও বিচক্ষণ থাকব।"

উল্লেখ্য, এর আগেও ইসিবির কর্মকর্তারা একাধিকবার জানিয়েছেন যে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তবে এখন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্কের অনিশ্চয়তার মধ্যে মূল্যস্ফীতি আবারও বাড়তে পারে। ৯ জুলাই আসতে এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। একদিকে, ব্রাসেলস যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত রপ্তানির ওপর 10% হারে শুল্ক আরোপে সম্মত হয়েছে, অন্যদিকে, তারা চায় এই হার যেন সমস্ত পণ্য, সেবা ও কাঁচামালের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।

This image is no longer relevant

2025 সালে ট্রাম্প শুধু 75টি দেশের ওপরই নয়, বরং তথাকথিত খাতভিত্তিক শুল্কও চালু করেন। যেমন, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের আমদানিতে বর্তমানে 50% হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, সেইসাথে গাড়ি আমদানিতেও 25% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাতেও 10%-এর চেয়ে অনেক বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ব্রাসেলস 10% একক শুল্ক হারের পক্ষে, তবে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শুল্ক হ্রাস নিয়ে আলোচনা চলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সন্তুষ্ট করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদি ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হয়, তবে শুল্ক হার আবারও আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে— যা 2025 সালের দ্বিতীয়ার্ধে মূল্যস্ফীতির ওপর বড় প্রভাব ফেলবে।

EUR/USD-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার:

EUR/USD পেয়ারের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলা যায় যে এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের পথে রয়েছে। ওয়েভ মার্কআপ এখনো পুরোপুরিভাবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত খবরের উপর নির্ভর করছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যায়নি। ওয়েভ 3-এর লক্ষ্যমাত্রা 1.25 জোনে প্রসারিত হতে পারে। তাই আমি এখনো 1.1875 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশনের কথাই ভাবছি, যা 161.8% ফিবোনাচি লেভেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। স্বল্পমেয়াদে একটি কারেকটিভ ওয়েভ সিকোয়েন্স গঠিত হতে পারে এবং কারেকশন শেষে নতুন করে এই পেয়ার ক্রয়ের সুযোগ তৈরি হবে।

This image is no longer relevant

GBP/USD-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার:

GBP/USD পেয়ারের ওয়েভ স্ট্রাকচার অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। এখানে আমরা একটি ঊর্ধ্বমুখী ইম্পালসিভ ওয়েভ সেগমেন্ট দেখতে পাচ্ছি। ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কেটে এখনও নানা ধরণের ধাক্কা ও বিপরীতমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে, যা ওয়েভের গঠনে প্রভাব ফেলবে। তবে আপাতত, বিদ্যমান পরিকল্পনা বহাল রয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ সেগমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা এখন 1.4017 লেভেলের কাছাকাছি অবস্থিত, যা সম্ভাব্য গ্লোবাল ওয়েভ 2-এর 261.8% ফিবোনাচি লেভেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তবে কারেকশন শুরু হয়ে থাকলে এই লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে। যদি সেটাই হয়, তবে ডলারের জন্য কিছুটা স্বস্তির সময় আসতে পারে এবং পরবর্তীতে নতুন বাই পজিশন ওপেন করা যৌক্তিক হবে।

আমার বিশ্লেষণের মূলনীতি:

  1. ওয়েভ স্ট্রাকচার অবশ্যই সহজ ও বোধগম্য হতে হবে। জটিল স্ট্রাকচারে ট্রেড করা কঠিন এবং এটি প্রায়শই পরিবর্তিত হয়।
  2. মার্কেটে কী ঘটছে তা যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে মার্কেটের বাইরে থাকাই ভালো।
  3. মুভমেন্টের দিক নিয়ে কখনোই 100% নিশ্চয়তা থাকে না। তাই স্টপ লস অর্ডার দিতে ভুলবেন না।
  4. ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি ও ট্রেডিং কৌশলের সঙ্গে একত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.