empty
 
 
07.07.2025 07:41 AM
৭ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার সারাদিন ধরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, মূল্যের মোট অস্থিরতার পরিমাণ ছিল 36 পয়েন্ট, যা স্পষ্টভাবে স্বল্প ট্রেডিং কার্যক্রম নির্দেশ করে। এটি আশ্চর্যের কিছু নয়, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি উদযাপিত হচ্ছিল, এবং সকল ব্যাংক ও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই, এই দিনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট ছিল না। একমাত্র ইভেন্ট হিসেবে ক্রিস্টিন লাগার্দের আরও একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে—তবে গত দুই সপ্তাহে এটি ছিল তাঁর ষষ্ঠ বক্তৃতা। তবে এই পেয়ারের মূল্যের স্থবিরতা দেখে বোঝা যেচ্ছে যে, লাগার্দ এবারও কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা দেননি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটিও ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়নি—কারণ মার্কেটে তেমন কোনো ট্রেডিং কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে, কোনো পজিশন ওপেন করার জন্য যথার্থ ভিত্তি ছিল না।

সোমবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই ডলারের নিয়মিত দরপতনের জন্য যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে। অবশ্যই, পর্যায়ক্রমে ডলারের মূল্যের কারেকশন হবে, তবে সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আপাতত ডলারের মূল্যের কোনো শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এই পেয়ারের মূল্য আরও কিছুদিন সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে, তারপর পুনরায় মার্কেটে ডলার বিক্রি করা শুরু হতে পারে। গত সপ্তাহের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ডলারের জন্য কিছুটা ইতিবাচক ছিল—কিন্তু তা কার্যত কোনো সহায়তা করতে পারেনি।

সোমবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে অথবা স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে ট্রেড করা হতে পারে। সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর উপর দৃষ্টি রাখুন: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908।

সোমবার শুধুমাত্র দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে, সেগুলো হচ্ছে জার্মানির শিল্প উৎপাদন এবং ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে 2025 সালে এমন ধরনের প্রতিবেদন সাধারণত মার্কেটে তেমন আগ্রহজনক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না। এই প্রতিবেদনগুলো থেকে মার্কিন ডলার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পাবে বলে মনে হচ্ছে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য টিপস:

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.