empty
 
 
14.07.2025 10:59 AM
ট্রাম্প আবারও মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন (USD/JPY এবং ইথেরিয়ামের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে)

প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর অর্থনৈতিক—এবং অনেকাংশে ভূ-রাজনৈতিক—চাপ অব্যাহত রেখেছে, যার প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থবাজারে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, এখন আমরা মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের মূল্যায়নে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করছি—যা বেশ মৌলিকও বলা যায়।

তাহলে কোন বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিকে পূর্ববর্তী সময় থেকে আলাদা করছে, এবং মার্কেটে এর প্রভাব কী হবে?

গত বসন্তে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর আক্রমণ শুরু করেন, এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিল, যা স্টক মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এমনকি মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় মূল উদ্বেগ ছিল এর পরিণতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য—এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী মন্দা বা স্থবিরতার ঝুঁকি।

সেই থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে। এখন স্পষ্ট যে ট্রাম্পের পদক্ষেপ সত্ত্বেও মার্কিন অর্থনীতি টিকে আছে এবং চীনের অর্থনীতিও শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, চীনের আজকের রপ্তানি তথ্য অনুযায়ী, জুনে দেশটির রপ্তানি 5.8%-এ পুনরুদ্ধার হয়েছে, যেখানে মে মাসে তা 4.8%-এ নেমে গিয়েছিল। যদিও এটি পূর্বের 10–12% বৃদ্ধির মতো নয়, তবে বাণিজ্য যুদ্ধ ও চীনের প্রতি ট্রাম্পের ক্রমাগত হুমকির প্রেক্ষাপটে এই প্রবৃদ্ধি যথেষ্টই বলা যায়।

এবার মার্কেটে ফেরা যাক।

এক সপ্তাহ আগে, ট্রাম্প "শীত নিদ্রা থেকে জেগে উঠে" আবারও মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ প্রয়োগ শুরু করেন, যার সূচনা হয় কানাডা ও অন্যান্য অপেক্ষাকৃত ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর মাধ্যমে। সাপ্তাহিক ছুটির সময়ে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জের মার্কেট-মেকার ঘোষণা দেন যে, ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর 30% শুল্ক আরোপ করবে। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে, তিনি এটাও সতর্ক করেন যে পাল্টা ব্যবস্থা নিলে তিনি আরও বেশি শুল্ক আরোপ করবেন।

বিনিয়োগকারীরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখালো?

মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বসন্তের তুলনায় এবার কমোডিটি মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষত, তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা মূলত শুল্ক হুমকির কারণে নয়, বরং রাশিয়া ও তার বাণিজ্য অংশীদারদের (চীন, ভারত প্রমুখ) প্রতি ট্রাম্পের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে।

স্টক মার্কেটে দরপতন হয়েছে, তবে চীন ও জাপানের স্টক সূচকগুলো স্থানীয় কারণগুলোর কারণে সমর্থন পেয়েছে। বিপরীতে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ইক্যুইটি ফিউচারস ট্রেড করা হচ্ছে, যেখানে ইউরোপের পতন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বেশি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট এবার বসন্তের মতো নয়; বরং ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যার পেছনে রয়েছে ফরেক্স মার্কেটে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান। ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের পদক্ষেপে কোনো বড় নেতিবাচক ঝুঁকি দেখছেন না; কারণ গত দুই সপ্তাহে যা কিছু হয়েছে, তা অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। এমনও হতে পারে যে স্থানীয়ভাবে কিছুটা দরপতনের পর, মার্কিন ইক্যুইটি মার্কেটেও আবার ক্রয়ের প্রবণতা শুরু হতে পারে—যদিও ইউরোপের ক্ষেত্রে তা সম্ভাবনাময় নয়, কারণ মার্কিন শুল্ক নীতির সবচেয়ে বড় ধাক্কা ইউরোপকেই সহ্য করতে হচ্ছে।

তাহলে আমরা মার্কেট থেকে কী প্রত্যাশা করতে পারি?

মনে হচ্ছে, খুব একটা নতুন কিছু হবে না, কারণ ট্রাম্পের পদক্ষেপ এখন আর ট্রেডারদের কাছে নতুন বা নাটকীয় কোনো বিষয় নয়।

This image is no longer relevant

This image is no longer relevant

দৈনিক পূর্বাভাস

USD/JPY
এই পেয়ার 147.60-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলের নিচে ট্রেড করছে। যদি ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাবে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে এবং এই লেভেলটি ব্রেক করে যায়, তাহলে পেয়ারটির মূল্য 148.50-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে। সম্ভাব্য বাই এন্ট্রি লেভেল হিসেবে 147.67-এর আশপাশের লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে।

ইথেরিয়াম
এই টোকেনের মূল্য সামগ্রিক ক্রিপ্টো মার্কেটের সহায়তায় ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। 3015.00 লেভেলের ওপরে স্থিতিশীল থাকলে, মূল্য 3218.65 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সম্ভাব্য বাই এন্ট্রি লেভেল হিসেবে 3063.28-এর আশপাশের লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.