আরও দেখুন
যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রিয় খেলা "মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন" খেলে চলেছেন, তখন বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের সারা বিশ্বের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের খরচ হিসাব করছেন—নিজেদের জন্য এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও।
আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেখানে মাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে, সামগ্রিক ও মূল উভয় সূচকেরই ঊর্ধ্বগতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সম্মিলিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি 2.4% থেকে বেড়ে 2.6% এবং মূল মূল্যস্ফীতি 2.8% থেকে বেড়ে 3.0%-এ পৌঁছাতে পারে। মাসিক ভিত্তিতে, মে মাসের 0.1%-এর তুলনায় জুনে সামগ্রিক এবং মূল মুদ্রাস্ফীতি 0.3% বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
এই পূর্বাভাস কী ইঙ্গিত দেয়?
এগুলো নির্দেশ করে যে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের গৃহীত অস্থির, দ্বিমুখী নীতি ভালো কোনো পরিণতি বয়ে নিয়ে আসছে না। দশকের পর দশক ধরে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ায়, লেনদেনের খরচ বাড়ছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত পণ্যের চূড়ান্ত দামও বাড়ছে। তদুপরি, এখনো স্পষ্ট নয় যে দেশীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সকল পণ্য কে উৎপাদন করবে, কারণ জামাকাপড় ও জুতা-সহ নানাবিধ পণ্যের জন্য শক্তিশালী শিল্পভিত্তি যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কর্পোরেশনের নির্বাহীরা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, যেসব পণ্য বিদেশে উৎপাদিত হয়, সেগুলো তারা দেশীয়ভাবে তৈরি করতে পারছেন না। অতএব, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কৌশল কার্যকর ফলাফল বয়ে আনবে বলে মনে হচ্ছে না। হ্যাঁ, কিছু দেশ মার্কিন চাপের কাছে মাথা নত করতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত কঠিন বাণিজ্য শর্ত তাদেরকে বিকল্প বাজারের দিকে ঠেলে দেবে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ীভাবে বাড়তে পারে। এটি ফেডারেল রিজার্ভকে—কমপক্ষে যতদিন জেরোম পাওয়েল নেতৃত্বে আছেন—সুদের হার কমানো থেকে বিরত রাখবে, যদিও ট্রাম্প তীব্রভাবে এর বিরোধিতা করছেন। এই প্রেক্ষিতে, মার্কিন ডলারের ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এ বছরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এখন আগের চেয়ে কম। কেবল তখনই পরিস্থিতি বদলাতে পারে, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফেড চেয়ারম্যানকে সরিয়ে এমন কাউকে নিয়োগ দেন যিনি আরও নমনীয় এবং মুদ্রাস্ফীতির ঐতিহ্যগত 2%-এর লক্ষ্যমাত্রাকে অগ্রাহ্য করবেন। তবে যদি তা ঘটে, তবে যুক্তরাষ্ট্র আবার 1980-এর দশকের মতো উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির যুগে ফিরে যেতে পারে।
মার্কেট থেকে কী প্রত্যাশা করা যেতে পারে?
যদি ভোক্তা মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস অনুযায়ী অথবা তার চেয়ে বেশি আসে, তবে এটি ফরেক্স মার্কেটে ডলারের জন্য সহায়ক হবে, কারণ ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা চলতি শরতের পরিবর্তে বছরের শেষ নাগাদ পিছিয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতি ডলারের বিপরীতে লেনদেন হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং কোম্পানিগুলোর স্টকের চাহিদার ওপর স্বল্পমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, ডলার শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও স্বর্ণের দাম বেড়ে স্থানীয় উচ্চতার দিকে যেতে পারে।
তবে যদি প্রতিবেদনের ফলাফলে অপ্রত্যাশিতভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে ঠিক বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
এই পেয়ার 1.3700 রেজিস্ট্যান্স লেভেলের নিচে ট্রেড করছে। যদি কানাডার প্রতি ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে ডলারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকে এবং মূল্য এই লেভেলটি ব্রেক করে যায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.3800 লেভেল দিকে যেতে পারে। সম্ভাব্য বাই এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে 1.3711-এর আশেপাশের লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশিত ঊর্ধ্বগতি এবং এর ফলে ডলার শক্তিশালী হওয়ার প্রেক্ষাপটে টোকেনটি প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, 116,765.00 সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে যাওয়ার পর বিটকয়েনের মূল্য 110,648.00 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সম্ভাব্য সেল এন্ট্রি লেভেল হিসেবে 116,370.99-এর আশেপাশের লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে।