empty
 
 
16.07.2025 11:26 AM
ট্রাম্পের গৃহীত নীতি ডলারের পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে (আবারও EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে)

গতকাল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের "মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন" নীতি আপাতত মূলত আমেরিকানদের জীবনযাত্রাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলছে।

উপাত্ত অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়ে 2.4% থেকে 2.7%-এ পৌঁছেছে, যেখানে পূর্বাভাস ছিল 2.6%। তবে মূল মুদ্রাস্ফীতি তুলনামূলকভাবে কম বেড়েছে — 2.8% এর পূর্বাভাসের বিপরীতে 2.9%-এ পৌঁছেছে, যেখানে বিশ্লেষকরা আশা করেছিল সূচকটি 3.0%-এ পৌঁছাবে। মাসিক ভিত্তিতে জুন মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাস অনুযায়ী 0.3%-এ ছিল, তবে মূল মুদ্রাস্ফীতি মাত্র 0.2% বেড়েছে, যা প্রত্যাশিত 0.3%-এর চেয়ে কম।

বিনিয়োগকারীরা এই খবরে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে?

প্রতিক্রিয়া ছিল তুলনামূলকভাবে মৃদু। একদিকে, অধিকাংশের কাছেই এখন পরিষ্কার যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী শুল্কনীতি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রধান চালক। চলমান শুল্ক পুনর্বিন্যাসের ফলে সৃষ্ট সাপ্লাই চেইনের বিঘ্নতা ইতোমধ্যে মার্কিন ভোক্তা বাজারে প্রভাব ফেলছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ছয় মাসে দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান এখনও পর্যন্ত তেমন কার্যকর ফল দেয়নি। একই সাথে, তার নীতিকে ঘিরে উচ্চস্বরে প্রচার ও হুমকির ভাষা প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য অর্জনে আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই তুলে ধরছে, যা তার কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাবকে আরও তীব্র করে তোলে।

আজ নজর থাকবে উৎপাদক মূল্য সূচকের দিকে, যা — ভোক্তা মূল্যস্ফীতির বিপরীতে — বার্ষিক ভিত্তিতে হ্রাস পেতে পারে, তবে মাসিক ভিত্তিতে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পশ্চিমা ভোক্তানির্ভর অর্থনীতির প্রকৃতি বিবেচনায় আমার ধারণা, এই প্রতিবেদন CPI-এর মতো মার্কেটে তেমন প্রভাব ফেলবে না।

আজ মার্কেট থেকে কী প্রত্যাশা করা যেতে পারে?

আমার মতে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখন বুঝতে পারছে যে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করতে পারে। এটি প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের জন্য সহায়ক হবে। এই বিষয়ে ডালাস ফেডের প্রেসিডেন্ট লরি লোগানের সতর্ক মন্তব্য ইঙ্গিত করছে যে সুদের হার পূর্বের চেয়ে দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকতে পারে। বাস্তবে, এখনই বলা যায় সুদের হার পরিবর্তনের সময়সীমা শরত্কাল থেকে সরিয়ে বছরের শেষ দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন ডলার অন্যান্য উপাদানের তোয়াক্কা না করেই শক্তিশালী হতে পারে। স্টক মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টি থাকবে কোম্পানিভিত্তিক সংবাদে। নতুন কোনো বড় খবরের অপেক্ষায় ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে কনসোলিডেশন হবে, একই অবস্থা স্বর্ণ ও তেলের বাজারেও বিরাজ করবে।

This image is no longer relevant

This image is no longer relevant

দৈনিক পূর্বাভাস

EUR/USD
এই পেয়ারের মূল্য 1.1595-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর পর ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। সম্ভবত 1.1635 পর্যন্ত রিবাউন্ডের পর আবার 1.1530 লক্ষ্যের দিকে দরপতন শুরু হবে, যদি না এই পেয়ার 1.1635-র উপরে কনসোলিডেট করে। এই পেয়ার বিক্রির জন্য সম্ভাব্য লেভেল হিসেবে 1.1632-এর কাছাকাছি লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD

মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রেক্ষিতে এই পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে রিবাউন্ডের পর এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়ে 1.3260 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এই পেয়ার বিক্রির জন্য সম্ভাব্য লেভেল হিসেবে 1.3368-এর কাছাকাছি লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে, যদি মূল্য 1.3375-এর নিচে নেমে যায়।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.