empty
 
 
16.07.2025 01:40 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তি করা প্রয়োজন—তবে যেকোনো মূল্যে নয়

ইউরো ক্রমাগতভাবে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়ে পড়ছে, যদিও ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকগণ এখন আর অতটা নমনীয় অবস্থানে নেই যতটা আগে ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে, বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ইয়োয়াখিম নাগেল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) পরবর্তী সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইউরোজোনে দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি ও ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার নমনীয়তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

This image is no longer relevant

নাগেল জোর দিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও, ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্কের কারণে এটি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি এখনো রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভৌত উপাদান যেমন জ্বালানি ও খাদ্যের বাইরে মৌলিক মূল্যস্ফীতির চাপ স্থায়ী রয়েছে, যা সচেতন পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।

বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় অর্থনীতি ইতোমধ্যেই একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা। নাগেল পরিমিতভাবে ও ধাপে ধাপে আর্থিক নীতিমালা পরিবর্তনের আহ্বান জানান। তিনি প্রস্তাব করেন যে, ইসিবি-কে অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং আগের সুদের হার হ্রাসের সামষ্টিক প্রভাব মূল্যায়ন করে এরপর নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে স্পষ্ট যোগাযোগের গুরুত্বও তুলে ধরেন, যেন অপ্রত্যাশিত ধাক্কা এড়ানো যায় এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মসৃণ অভিযোজন নিশ্চিত হয়।

তার ভাষায়, বর্তমানে আর্থিক নীতিমালার ক্ষেত্রে "এটি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন," এবং তিনি যোগ করেন যে, সেপ্টেম্বর মাস সম্ভবত পরিস্থিতি "পুনর্মূল্যায়নের" জন্য উপযুক্ত সময় হবে।

২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আটবার সুদের হার কমানোর পর ইসিবি জুলাইয়ের বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, সেপ্টেম্বর ১০–১১ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে নতুন অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশের মাধ্যমে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

"প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধারাবাহিক শুল্কবৃদ্ধিমূলক নীতি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার উপর চাপ সৃষ্টি করছে," নাগেল বলেন, এবং যোগ করেন যে, এর প্রভাব মূল্যস্ফীতির ওপর অত্যন্ত অনিশ্চিত। "শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা অর্থবাজারে চাপ সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষতি করে," তিনি জার্মান একটি সংবাদপত্রকে বলেন। "যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত একটি চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত—তবে তা যেকোনো মূল্যে নয়।"

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে।

GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.