আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1607-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণে, আমি কোনো সেল ট্রেডে এন্ট্রি করিনি এবং মার্কেটের বাইরে ছিলাম।
যখন এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে অপসারণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন তখন মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা শুরু হয়। মার্কেটের ট্রেডাররা একে রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি নতুন ধাপ এবং দেশটির স্বাধীন মুদ্রানীতি ব্যবস্থায় সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে ডলারের দরপতন ঘটে, তবে পাওয়েল এই গুজব অস্বীকার করার পর দ্রুত ডলার ঘুরে দাঁড়ায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশেষ করে রাজনৈতিক কারণে ফেডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করলে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ফলে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সকল পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
আজ সকালে, ইউরোজোনের জুন মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং মূল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে পারে। বিপরীতে, ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা প্রতিফলিত হলে ইসিবি বর্তমান মুদ্রানীতিগত অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে পারে। তবে যদি আসন্ন প্রতিবেদনের মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল বা মন্থর হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ইসিবি পূর্ববর্তী সময়ের মতো ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানে ফিরে যেতে পারে, যা মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের হতাশ করতে পারে এবং ইউরোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1670-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1631-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1670-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1612-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1631 এবং 1.1670-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1612-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1582-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1631-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1612 এবং 1.1582-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।