আরও দেখুন
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যা বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল। প্রথমেই আমরা বলতে চাই যে, যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের কারণেই ব্রিটিশ পাউন্ডের এই দরপতন শুরু হয়েছে — এমনটি বলা কঠিন। হ্যাঁ, দেশটির পরিষেবা ও উৎপাদন সংক্রান্ত PMI সূচক এবং খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই তিনটি তুলনামূলকভাবে গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন কি ব্রিটিশ পাউন্ডের 140 পিপস দরপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট? বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই দরপতন টানা দুই দিন ধরে হয়েছে এবং মাঝখানে কার্যত কোনো কারেকটিভ মুভমেন্ট দেখা যায়নি। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে পাউন্ড বিক্রি করেছে।
আমাদের বিশ্লেষণে, এই মুভমেন্টকে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে গণ্য করা যায়। দীর্ঘমেয়াদী টাইমফ্রেমে (দৈনিক এবং তার ঊর্ধ্বে), এটি স্পষ্ট যে গত ছয় মাস ধরে ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র ক্ষণস্থায়ী ও দুর্বল কারেকশন দেখা গেছে। তাই এখন হয়তো একটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের কারেকশন শুরু হওয়ার সময় এসেছে। বিশেষ করে যখন মৌলিক প্রেক্ষাপট অপরিবর্তিত রয়েছে, তখন এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই। শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য ইতিবাচক হলেও তা আশাব্যঞ্জক বলা যাবে না।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম সিগন্যালটি রাতের বেলায় গঠিত হয় — আমরা সেটি লক্ষ্য করলেও বাস্তবে এক্ষেত্রে ট্রেড নেওয়া কঠিন ছিল। এরপর দিনের বেলায়, এই পেয়ারের মূল্য ধারাবাহিকভাবে কমে গিয়ে 1.3466 লেভেল ব্রেক করে এবং দিনের শেষে 1.3413–1.3421 জোনে পৌঁছায়, যা ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়। ফলস্বরূপ, 1.3466 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত সেল সিগন্যালটিও লাভজনক ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য়ের মুভমেন্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে যে টেকনিক্যাল কারেকশন এখনও শেষ হয়নি। কোনো বড় ধরনের মৌলিক কারণ ছাড়াই টানা দুই দিন ধরে পাউন্ড দরপতনের শিকার হয়েছে এবং মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়েছে। তাই স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং কারেকশনের পরিসর নির্ধারণ করতে দৈনিক টাইমফ্রেমই সবচেয়ে উপযুক্ত।
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী রিবাউন্ড হতে পারে, কারণ শুক্রবার 1.3413–1.3421 জোন থেকে এই পেয়ারের মূল্য চারবার বাউন্স করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি বাই সিগন্যাল এবং মূল্যের 1.3466-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় ট্রেড ওপেন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য 1.3413–1.3421 লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়, তাহলে নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3329–1.3331-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।