আরও দেখুন
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্বাভাবিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যার পেছনে শুধুমাত্র, মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন নয়, বরং বেকারত্বের হার, উৎপাদন খাতের কার্যক্রম, এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন চমকপ্রদ ঘোষণাগুলোও দায়ী ছিল। শুক্রবার ট্রেডাররা চোখের সামনে দেখেছে কীভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পুরো পরিস্থিতি একেবারে উল্টে যেতে পারে। ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন, 60টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাত আবারও দুর্বলতা প্রদর্শন করেছে (যা আবারও দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রকাশিত তথাকথিত শক্তিশালী জিডিপি প্রবৃদ্ধির কৃত্রিমতা প্রমাণ করে), বেকারত্ব বেড়েছে, এবং আমরা আগেই ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছি। এটুকুই যথেষ্ট। এখন কে বলবে যে ডলারের মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট যৌক্তিক ছিল এবং আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাবে?
GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখনও একটি ডিসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে, তবে আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে যে এই পেয়ারের মূল্য এই চ্যানেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার আরেকটি ধাপ শুরু হবে।
শুক্রবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে অনেকগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে বাস্তবে ট্রেডাররা কেবলমাত্র প্রথম সিগন্যালটিই কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে। ইউরোপীয় সেশনের সময় এই পেয়ারের মূল্য 1.3203–1.3211 এরিয়া থেকে যথাযথভাবে রিবাউন্ড করে এবং প্রায় 45 পিপস নিম্নমুখী হয়। যেহেতু মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রকাশনার আগেই সব পজিশন ক্লোজ করা (অথবা অন্তত স্টপ লস ব্রেকইভেনে সরিয়ে নেওয়া) উত্তম ছিল, তাই এই ট্রেড থেকে লাভ করা সম্ভব ছিল। এরপর যেসব সিগন্যাল গঠিত হয়, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করার কোনো যৌক্তিকতা ছিল না—কারণ তখন মার্কেটে আরেকটি "ঝড়" শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন এখনও চলমান রয়েছে। তবে শুক্রবারের খবরের পর আমরা ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ওপর এক পয়সাও বাজি ধরতাম না। আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে যে, এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেক করে ওপরে উঠবে এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হবে।
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের পুনরুদ্ধার হওয়ার জন্য এবং পুনরায় টেকনিক্যাল লেভেলগুলোর ওপর মনোযোগ দেয়ার আগে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে কিছু টেকনিক্যাল লেভেল পুনরায় সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে।
সোমবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে:
1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।
সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে পুরো দিনের জুড়েই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অনেক বেশি থাকতে পারে—কারণ শুক্রবার মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কেটে ট্রেডিং শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর যথেষ্ট সময় ছিল না।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।