আরও দেখুন
সপ্তাহের শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল, ফেডারেল রিজার্ভের আরও সদস্য সুদের হারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করছেন। তবে গতকাল, এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধীরা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
আটলান্টা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বসটিক এক ভাষণে বলেন, তিনি এখনও মনে করেন চলতি বছর একবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন, শুল্কের ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব শুধুমাত্র অস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব সিএফও'র ভার্চুয়াল আলোচনায় বস্টিক বলেন, "প্রশ্নটি হলো—শুল্ক কি এককালীন প্রভাব বিস্তার করবে, নাকি এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে এবং না কি এমনকি গঠনগত পরিবর্তনও ডেকে আনতে পারে? এটি এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।"
বস্টিকের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার প্রতিফলন। একদিকে অর্থনীতি এখনও স্থিতিশীল রয়ে গেছে, কিন্তু শ্রমবাজার সেইভাবে সাড়া দিচ্ছে না। যদিও মুদ্রাস্ফীতি কমছে, তবে তা এখনও ফেডের 2% লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বাণিজ্য দ্বন্দ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব বিবেচনায় ফেডকে এখন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। সুদের হার কমালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসতে পারে, তবে এতে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। আবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলে প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হতে পারে, তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
বস্টিক শুল্ক-প্রভাবিত মুদ্রাস্ফীতিকে অস্থায়ী ভাবার ক্ষেত্রে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি গঠনগত পরিবর্তন আসতে পারে এবং উচ্চমূল্যের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এই বাস্তবতায় ফেড সম্ভাব্যভাবে সতর্ক থাকবে এবং আর্থিক নীতিমালায় পরিবর্তন আনার আগে আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সুদের হার হ্রাসের যেকোনো সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে—মুদ্রাস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছে কি না এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর কোনো বড় ধরনের ঝুঁকি আছে কি না তার ওপর।
আটলান্টা ফেডের প্রধান আরও বলেন, বর্তমানে যেসব শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে, সেগুলো আদৌ এককালীন ও অস্থায়ীভাবে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাধারণ উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় কি না, সে বিষয়েও সংশয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
গত সপ্তাহে, ফেড নীতিনির্ধারণী হার অপরিবর্তিত রেখেছে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, শ্রমবাজার এখনও স্থিতিশীল রয়ে গেছে, যদিও এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি বিদ্যমান। পাশাপাশি, তিনি উল্লেখ করেন, সেপ্টেম্বরের বৈঠকের আগে মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে আরও বিশদ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তবে এরপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ফেডের এই "অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ" কৌশল ইতোমধ্যেই শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, গত তিন মাসের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির সংখ্যা পূর্ববর্তী হিসাবের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল এবং ভোক্তা ব্যয়ও কমতে থাকে।
বস্টিক বলেন, এই কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির ফলাফল প্রত্যাশার বাইরে ছিল এবং এর সংশোধিত সংস্করণ মার্কিন অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা তুলে ধরেছে। তবু তিনি যোগ করেন, অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিগুলো এখনও যথেষ্ট দৃঢ় বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র – ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1690 লেভেলে ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল এই শর্তেই এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 লেভেল টেস্টের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। সেখান থেকে মূল্যের 1.1760-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1800 লেভেল বিবেচিত হচ্ছে। দরপতনের ক্ষেত্রে, কেবল মূল্য 1.1655 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় এই ক্রয়ের শক্তিশালী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। যদি সেখানেও ক্রেতারা অনুপস্থিত থাকে, তাহলে 1.1610 লেভেলের পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে, অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনার কথা ভাবা যেতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র – পাউন্ডের ক্রেতাদের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল 1.3450 ব্রেক করা হবে। কেবল এটিই তাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3475-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যাওয়ার করার সুযোগ দেবে, যার ওপরে ওঠা মূল্যের কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকার ক্ষেত্রে সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3502 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, বিক্রেতারা মূল্য 1.3405 লেভেলে থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউটক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধাক্কা দেবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলের দিকে নিয়ে যাবে, যার ফলে 1.3350 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।