empty
 
 
14.08.2025 07:43 AM
১৪ আগস্ট কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির হার খুব বেশি ছিল না, তবে মূল্য ঊর্ধ্বমুখীই ছিল, যা বর্তমান বুলিশ প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আগেই যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে ডলারের দরপতন অব্যাহত রাখতে নতুন কোনো স্থানীয় প্রভাবকের প্রয়োজন নেই। গতকাল কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা বক্তব্যও ছিল না। তবুও, মার্কিন কারেন্সির দরপতন অব্যাহত ছিল, কারণ এটি বৈশ্বিক মৌলিক প্রেক্ষাপট থেকে উল্লেখযোগ্য চাপের মুখে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, শুধুমাত্র এই সপ্তাহেই, ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা — শুধু সেপ্টেম্বরেই নয়, বরং বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিটি বৈঠকেই — উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনের কারণ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন, যেখানে দেখা গেছে যে মূল্যস্ফীতি খুব ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে প্রায় কোনোই প্রভাব ফেলছে না। এটি অর্থনীতিতে এক ধরনের ধাঁধার মতো মনে হচ্ছে: আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে পণ্যের দাম প্রায় বাড়ছেই না। তবে এই ধাঁধার জট খুলছে। যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি না পায়, তাহলে ফেডের মূল সুদের হার হ্রাস না করার কোনো কারণ নেই। আর ফেড যখন সুদের হার প্রায় সর্বোচ্চ স্তরে ধরে রেখেছিল, তখনও ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছিল।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। মঙ্গলবার রাতে এই পেয়ারের মূল্য 1.1666 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, এবং যদিও টেকনিক্যালভাবে এটি একটি সিগন্যাল ছিল, তবুও এটি ব্যবহার করে ট্রেডিং করা কঠিন ছিল। তবুও, এটি এই পেয়ারের মূল্যের নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সূচনা করেছিল। স্বল্পমেয়াদে, আমরা 1.1740–1.1750 এরিয়া পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এই বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখার সব সুযোগ রয়েছে। মার্কিন ডলারের "তাসের ঘর" গত সপ্তাহের শুক্রবার ভেঙে পড়েছিল, এবং তখন থেকে ডলারের পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে। খুব শিগগিরই ফেড পুনরায় মুদ্রানীতি নমনীয়করণ শুরু করতে পারে, এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রশমিত হলে ডলারের পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ মুদ্রার প্রতি চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, যেহেতু মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করে উপরে উঠেছে এবং এর উপরে থেকে দুইবার বাউন্স করেছে। তাই আজ লং পজিশনগুলো প্রাসঙ্গিক থাকবে। যদি মূল্য 1.1740–1.1750 এরিয়া থেকে বাউন্স করে তাহলে শর্ট পজিশনও বিবেচনা করা যেতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1552–1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। বৃহস্পতিবার ইউরোজোনে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক এবং বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা প্রকাশিত হবে। এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ সূচক নয় এবং মার্কেটে কেবলমাত্র সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.