empty
 
 
21.08.2025 12:14 PM
কর থেকে বাড়তি আয়ের কারণে যুক্তরাজ্যের বাজেট ঘাটতি সামান্য কমেছে

যুক্তরাজ্যের বাজেট ঘাটতি জুলাই মাসে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হ্রাস পাওয়ার খবরে পাউন্ডের দর সামান্য বৃদ্ধি পায়। স্ব-মূল্যায়িত আয়কর প্রদানের ফলে ট্রেজারি বিভাগ অতিরিক্ত রাজস্ব পেয়েছে, যা অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসকে সাময়িকভাবে স্বস্তি দিয়েছে।

জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের পরিমাণকে মাত্র 1.1 বিলিয়ন পাউন্ডে অতিক্রম করেছে, যা এক বছর আগে 3.4 বিলিয়ন পাউন্ড ছিল। এটি নভেম্বরের পর সরকারি বাজেট ঘাটতির প্রথম বার্ষিক হ্রাস এবং গত তিন বছরে জুলাই মাসের সর্বনিম্ন ঋণগ্রহণ। বাজেট দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী 2.1 বিলিয়ন পাউন্ড ঘাটতি হওয়ার কথা ছিল।

This image is no longer relevant

ঘাটতির এই হ্রাস রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমানোর ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থার উন্নতি প্রতিফলিত করছে। তবে, এই পরিবর্তনগুলো যেসব প্রেক্ষাপটে ঘটছে তা বিবেচনা করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, কর রাজস্বের বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, অন্যদিকে ব্যয় হ্রাস কৃচ্ছ্রসাধনের ফল হতে পারে, যা সামাজিক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তা সত্ত্বেও, জুলাইয়ে ঋণগ্রহণের পরিমাণ হ্রাস একটি ইতিবাচক সংকেত, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি এটি দেশটির সরকারকে আর্থিক নীতিমালা বাস্তবায়নে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্যও প্রদান করছে।

তবে মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ের প্রতিবেদনে কেবল এক মাসের ফলাফল প্রতিফলিত হয় এবং এই প্রবণতা স্থায়ী হবে কিনা তা মূল্যায়নের জন্য আরও প্রতিবেদনের প্রয়োজন। বাজেট ঘাটতির এই হ্রাস রিভসের জন্য স্বস্তির খবর, যিনি শরৎকালীন বাজেট নিয়ে একাধিক কঠিন সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হবেন। পূর্ববর্তী মাসগুলো হতাশাজনক হলেও জুলাইয়ের উন্নতি সার্বিক পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন করতে সহায়তা করেছে।

বছরের প্রথম চার মাসে বাজেট ঘাটতি প্রায় লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছিল — 60 বিলিয়ন পাউন্ড, যেখানে বাজেট দপ্তর মার্চে পূর্বাভাস দিয়েছিল 59.9 বিলিয়ন পাউন্ড। এই তথ্য প্রকাশের পর মার্কেটে প্রায় কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি।

অর্থনীতিবিদদের মতে, জুলাই যুক্তরাজ্যের সরকারি আর্থিক অবস্থার জন্য অন্যতম শক্তিশালী মাস, কারণ এই সময়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের দ্বিতীয় স্ব-মূল্যায়িত আয়কর প্রদান করে থাকে।

GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিকটতম রেসিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3530 এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যদিও সেই লেভেলের ওপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3560-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3440-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত নেমে যাবে, যার পরবর্তী সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3375-এর লেভেল।

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 এর ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1700 এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি মূল্য 1.1625 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.