empty
 
 
28.08.2025 07:46 AM
২৮ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট EUR/USD পেয়ারের মতোই ছিল—প্রথমে একটি অযৌক্তিক দরপতন হয়েছে, এরপর তুলনামূলকভাবে যৌক্তিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, এই সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন উত্তেজনার সূচনা করেছে। একই সঙ্গে, ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু করেছেন, লিসা কুককে একই সঙ্গে বরখাস্তও করেছেন আবার করেনওনি। দুটি বিষয়ই মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক। সুতরাং, ইতোমধ্যেই এই সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রার উল্লেখযোগ্য দরপতন হতে পারত। ট্রেডাররা এখনো তাড়াহুড়ো করে এসব বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না, তবে আমাদের মতে এটি কেবল সময়ের ব্যাপার। অন্যদিকে, আটলান্টিকের অপর প্রান্ত থেকে এখনো কোনো ইতিবাচক খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। যেহেতু কোনো মুদ্রাই চিরকাল পতনশীল থাকতে পারে না, তাই মাঝে মাঝে টেকনিক্যাল কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে কার্যকর করার মতো পর্যাপ্ত ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। রাতেরবেলা এবং সকালে, প্রথমে মূল্য 1.3466–1.3475 এরিয়ার ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়েছে, তারপর নিচ থেকে রিবাউন্ড করে ওপরে ওঠে। ফলে, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত। কয়েক ঘণ্টা পরে, মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ায় পৌঁছায় এবং একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়। তখন শর্ট পজিশন ক্লোজ করে লং পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। আরও কয়েক ঘণ্টা পরে, মূল্য আবার 1.3466–1.3475 এরিয়া ব্রেক করে ওপরে উঠে যায়, তাই এখনো পর্যন্ত মুনাফার সাথে লং পজিশন হোল্ড করে রাখা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তির এবং একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ডলারের জন্য ইতিবাচক ছিল না, তাই ডলারের শক্তিশালী মূল্য বৃদ্ধির আশা করা যায় না। সুতরাং, আগের মতোই, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পূর্বাভাসই দিচ্ছি। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি, ইউক্রেনে সামরিক সংঘাতের প্রশমন, অথবা ফেডের ওপর ট্রাম্পের চাপ সংক্রান্ত যেকোনো খবর নতুন করে মার্কিন মুদ্রার দরপতনের কারণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী মোমেন্টাম শুরু হতে পারে, কারণ রাতেরবেলা মূল্য 1.3518–1.3525 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছে। তবে এই পেয়ারের মূল্যের এই এরিয়া অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি এবং সেটি হলে মূল্য 1.3574–1.3590 এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ উন্মুক্ত হবে।

5-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে কেবল দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে যা তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.