empty
 
 
03.09.2025 08:17 AM
৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের 200 পিপসের তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে যেখানে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের স্পষ্ট ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, সেখানে হায়ার টাইমফ্রেমগুলোতে এটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। আমরা মনে করি না এই কারেকশন দীর্ঘস্থায়ী হবে, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার মতো এখনো কোনো মৌলিক কারণ নেই। তবে নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে দৈনিক টাইমফ্রেমে সার্বিক কারেকশন তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল—যা কেবল টেকনিক্যাল কারণে আরও কিছু সময় ধরে চলতে পারে। এর ফলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক কারণ নেই, তবে টেকনিক্যাল কারণে ডলারের মূল্য আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তে পারে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য আপট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে নিচের দিকে নামায় স্বল্পমেয়াদে আবারও নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। সুতরাং, বৈশ্বিক পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কেবল ঘন্টাভিত্তিক চার্টে নতুন ট্রেন্ড রিভার্সাল গঠনের পরেই বিবেচনা করা যেতে পারে। গতকাল যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত ISM উৎপাদন PMI-এর ফলাফলও ডলারের দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারেনি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে অতিরিক্ত উচ্চ মাত্রার অস্থিরতার কারণে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। EUR/USD পেয়ারের বিশ্লেষণে আমরা উল্লেখ করেছি যে নতুন ট্রেডারদের এ ধরনের মুভমেন্টের ফলে সৃষ্ট সিগন্যাল ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এগুলো বোঝা অত্যন্ত কঠিন। তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন ছিল। প্রথম সেল সিগন্যাল 1.3518–1.3532 এরিয়ার কাছাকাছি গঠিত হয়েছিল। তখনো পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মুভমেন্টের সম্ভাবনা স্পষ্ট ছিল না। তাই এটি একটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক সেল সিগন্যাল ছিল—একটি গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হয়েছিল। সুতরাং, এটি ব্যবহার করে ট্রেড করা সম্ভব ছিল। এরপর সবকিছু নির্ভর করেছে ট্রেডাররা তাদের শর্ট পজিশন কোথায় ক্লোজ করেছেন তার উপর।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের প্রভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য আকর্ষণীয় ছিল না, তাই আমরা এখনো ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। তবে ঘন্টাভিত্তিক চার্টে স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাই শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। মূল বিষয় হলো—মার্কেট ও মূল্য মুভমেন্ট যেন আরও স্থিতিশীল হয়।

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখতে পারে, কারণ গতকাল 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে বাউন্সের ফলে সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। যদি এই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তবে ডলারের দর আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

5-মিনিটের চার্টে বর্তমানে যেসব লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের JOLTS জব ওপেনিংস বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ট্রেডাররা এ প্রতিবেদনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, তবে তা শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.