আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক ওপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.148.95 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছে। এই কারণে আমি ডলার ক্রয় করিনি এবং পুরো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি 3.0% থেকে ঊর্ধ্বমুখী 3.8%-এ পৌঁছানোর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের পর শুধু ডলারই শক্তিশালী হয়নি, বরং পুরো কারেন্সি মার্কেটে এক ধরনের ঝড় সৃষ্টি হয়েছে—যা বিশেষভাবে জাপানি ইয়েনের তীব্র বিক্রয়ের প্রবণতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই অপ্রত্যাশিত গতি বৃদ্ধির ফলে ডলার আরও শক্তিশালী হয়েছে, যা এটির মূল্যকে আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী করেছে, আর ইয়েন সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ইতিবাচক প্রতিবেদনের অনুপ্রাণিত বিনিয়োগকারীরা দ্রুত ইয়েন বিক্রি করে আরও আকর্ষণীয় মার্কিন ডলার-ভিত্তিক অ্যাসেটের দিকে ঝুঁকেছেন। এর ফলে জাপানি মুদ্রার তীব্র দরপতন ঘটেছে, যা অনেককে জাপানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের শক্তিশালী হওয়া কেবল স্ক্রিনে থাকা কিছু সংখ্যা নয়—এটি মুদ্রানীতির বিভাজন সম্পর্কিত একটি সংকেত, যদিও নিকট ভবিষ্যতে এই ব্যবধান সংকুচিত হতে পারে।
আজ টোকিও কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতি রেখে 2.5%-এ পৌছেছে। কোর প্রাইসও গত মাসের মতো অপরিবর্তিত থেকে 2.5%-এ রয়েছে। তবে ইয়েন যেন কোনো যাদুর প্রভাবে এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এটি প্রশ্ন তোলে যে সম্প্রতি জাপানি মুদ্রাকে আসলে কোন বিষয়টি প্রভাবিত করছে। সম্ভবত মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হারকে মূল্যায়ন করেছে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক খুঁজছে। যেভাবেই হোক না কেন, টোকিওর মুদ্রাস্ফীতি হারের প্রতি প্রতিক্রিয়াহীনতা একটি সংকেত, যা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার উচিত।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.20-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 149.78-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 150.20-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 149.60-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 149.78 এবং 150.20-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 149.60-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 149.19-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 149.78-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 149.60 এবং 149.19-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।