আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক উপরে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1490 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করা থেকে বিরত ছিলাম। 1.1490 লেভেলের দ্বিতীয়বারের টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে অবস্থান করছিল, যার ফলে ইউরোর সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করা সম্ভব হয় এবং এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২০ পিপস কমে যায়।
ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা 42,000 বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে অর্থনীতিবিদরা আরও অল্প পরিমাণ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই অপ্রত্যাশিত ফলাফল অনেক বিশ্লেষককে তাঁদের শ্রমবাজার সম্পর্কিত পূর্বাভাস পুনরায় বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে, কারণ ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে প্রায়শই সামগ্রিক শ্রমবাজার পরিস্থিতি একটি প্রাথমিক সূচক হিসেবে দেখা হয়। মার্কিন অর্থনীতি ঘিরে এই নতুন আশার সঞ্চার ডলারের শক্তিশালী অবস্থানে প্রতিফলিত হয়েছে, যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অনীহা প্রদর্শন করছে।
আজ সকালেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির শিল্প উৎপাদনের পরিবর্তন, ফ্রান্সের বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবণতা এবং ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে জার্মানির শিল্প খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর, কারণ এটি ইউরোজোনের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিউতি প্রতিফলিত করে এবং পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চলের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। শিল্প উৎপাদনের পতন ঘটলে তা সামগ্রিকভাবে চাহিদা হ্রাস এবং সাপ্লাই চেইনের ব্যাঘাত ইত্যাদি বড় ধরনের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। ফ্রান্সের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনটিও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেশটির শ্রমবাজারের বাস্তব চিত্র মূল্যায়নে সহায়ক হবে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার এবং ভোক্তাদের আস্থার ইতিবাচক সংকেত দেবে, যা বর্তমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ইউরোকে কিছুটা সহায়তা করতে পারে।
সকালের ট্রেডিং সেশন শেষ হবে ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয়ে সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে। খুচরা বিক্রয়ে বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, পক্ষান্তরে বিক্রয়ের পরিমাণে হ্রাস অর্থনৈতিক দুর্বলতার সম্ভাবনা নির্দেশ করতে পারে।
আজকের ট্রেডিং কৌশল অনুযায়ী, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1543-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1514-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1543-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1503-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1514 এবং 1.1543-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1503-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1477-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1514-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1503 এবং 1.1477-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।