|
যুক্তরাজ্য বিশ্বব্যাপী আর্থিক কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এবং শক্তিশালী এক অর্থনীতি। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শুরু করে অফশোর ট্রাস্ট পর্যন্ত—এখানে কেবল অর্থই উড়ে বেড়ায় না, বরং বৈশ্বিক পুঁজির গতিশীলতা নির্ধারিত হয়। এই দ্বীপদেশ থেকে যেসব বিলিয়নিয়ার উঠে এসেছেন, তাঁদের সম্পদ শুধু ব্রিটেন নয়, অনেক দেশের অর্থনীতিকেই প্রভাবিত করে। এই বিপুল সম্পদের উৎস মূলত ব্যাংকিং, হেজ ফান্ড, জ্বালানি ও প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগ।
ব্যাংকনোট শুধু লেনদেনের মাধ্যম নয়—এগুলো একটি দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং জাতীয় পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। কিছু কিছু নোটের নকশা এতটাই অনন্য আর শিল্পগুণে ভরপুর যে তা খরচ করতে ইচ্ছে হয় না। বরং মনে হয়, সেগুলো কোনো জাদুঘরের গ্যালারিতে বা ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় গর্বের সাথে সংগ্রহ করা। আসুন বিশ্বের এমনই কয়েকটি সৌন্দর্যে মোড়ানো ব্যাংকনোট দেখে নেওয়া যাক, যেগুলো আসলেই শিল্পকর্মের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।
বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির মাত্রা পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রনেতাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে তারা কত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সংস্কারের জন্য নয়, বরং ব্যক্তিগত লাভের জন্য—আর রেখে গেছেন দারিদ্র্য, সংকট আর জনগণের বিশ্বাস ভেঙে পড়ার এক নির্মম চিহ্ন। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই আলোচিত তালিকায় কারা স্থান পেয়েছেন।
গত ১২ মাসে বিশ্বে বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। মোট ৩,০২৮ জন বিলিয়নিয়ারের মোট সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ $১৬ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়েছে, ইতিহাসের সর্বোচ্চ। তবে সবার ভাগ্যে সমান সুযোগ আসেনি: কারো কারো সম্পদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কেউ কেউ আলোচনাতেই নেই। চলুন সেই পাঁচজন শীর্ষ বিজয়ীকে দেখে নেওয়া যাক যাঁরা এই আর্থিক ম্যারাথনে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়েছেন।
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর সম্পন্ন করলেন। তার ভ্রমণের মূল গন্তব্য ছিল সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, যেখানে তিনি একের পর এক আলোচিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। চলুন এক নজরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এর প্রভাব কী হতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক।
বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ এবং OECD-এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পরামর্শদাতা সংস্থা Z/Yen Group সর্বশেষ বৈশ্বিক আর্থিক রাজধানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় ১০০টিরও বেশি শহর থাকলেও, মাত্র কয়েকটি শহর প্রতিবারই শীর্ষে জায়গা করে নিচ্ছে। চলুন এক নজরে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি আর্থিক রাজধানী দেখে নেওয়া যাক।
গত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে গড়ে ওঠা কিছু ভবনের নির্মাণে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো কেবল স্থাপত্যের চমক নয়, বরং সাহসিকতা, প্রকৌশল দক্ষতা এবং এর নির্মাতাদের আর্থিক সামর্থ্যের প্রতীক হিসেবে একেকটি নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচটি স্থাপনা সম্পর্কে জেনে নিই।
চীন শুধু একটি অর্থনৈতিক পরাশক্তিই নয়, এটি এক অসাধারণ সৌন্দর্যের দেশ—যা প্রতিবছর সারা বিশ্বের কোটি কোটি পর্যটককে আকর্ষণ করে। কেউ আসেন রাজকীয় প্রাসাদ দেখতে, কেউ হাঁটেন প্রাচীন শহরের সরু গলিপথে, আবার কেউ উপভোগ করেন আধুনিক মহানগরের প্যানোরামিক দৃশ্য। এই প্রতিবেদনে আমরা চীনের এমন পাঁচটি শহরের কথা তুলে ধরবো, যেগুলোর সৌন্দর্য সত্যিই চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।
এক সময় ফোর্বসের তালিকায় জায়গা করে নিতে দশকের পর দশক ধরে ব্যবসা গড়া, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াই করা এবং বাজার জয় করার প্রয়োজন হতো। আজ এই পথ অনেক সংক্ষিপ্ত—কেবল সঠিক সময়ে একটি এআই-ভিত্তিক বাজি আপনাকে নিয়ে যেতে পারে বিলিয়নিয়ার ক্লাবে। গত এক বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুর্দান্ত উত্থানের সুবাদে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন এক ঝাঁক নতুন মুখ।
২ এপ্রিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক বাণিজ্যিক খাতে আরেকটি ধাক্কা দেন, যখন তিনি প্রত্যাশার চেয়েও কঠোর এক নতুন শুল্ক তালিকা প্রকাশ করেন। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা সব দেশের ওপর ১০% শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে, আর ৬০টিরও বেশি দেশের জন্য শুল্ক হার আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা গেছে চীনের ওপর—বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে আরও ৩৪% যোগ করে মোট শুল্ক এখন ৫০%, কিছু ক্ষেত্রে তা ৬৫% পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে কিছু দেশ এর চেয়েও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। চলুন দেখে নিই কোন কোন দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য বেশ কিছু বাণিজ্যিক শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেন, যা বিশ্বজুড়ে আর্থিক বাজারে একপ্রকার আশাবাদের জোয়ার বইয়ে দেয়। বিনিয়োগকারীরা এই পদক্ষেপকে বাণিজ্য নীতিমালায় নমনীয়তার সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছেন। তবে হয়তো কিছুটা আগেভাগেই উদযাপন শুরু হয়ে গেছে। কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও বাজার পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন দেখে নিই, কোন কোন শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি প্রধান অর্থনীতি—ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানি—এ মুহূর্তে এমন এক সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, যা ইউরোপীয় ঐক্য গঠনের ভিত্তিকে পুনর্গঠন করতে পারে। এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য রূপকার তিন প্রভাবশালী নারী: জর্জিয়া মেলোনি, মারিন ল্যু পেন, এবং অ্যালিস ভাইডেল। তাঁদের প্রেক্ষাপট ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য থাকলেও লক্ষ্য একটাই—ব্রাসেলসের হাত থেকে ক্ষমতা সরিয়ে জাতীয় সরকারের হাতে তুলে দেওয়া, বৈশ্বিক রাজনীতিতে ইইউ-র ভূমিকা পুনঃনির্ধারণ, এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব আরও জোরদার করা।
