আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1484 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এরপর পেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এবং একাধিক এক্সচেঞ্জে ছুটি থাকার কারণে ইউরো মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছিল। তবে, এটিকে দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতার পরিবর্তন হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এটি সম্ভবত বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে একটি স্বল্পমেয়াদি উন্নতি। মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে দ্রুত ডলারের চাহিদা ফিরে আসতে পারে, তাই ইউরোর মূল্যের স্থায়ী বুলিশ প্রবণতার আশা করা সময় এখনও আসেনি।
আজ ট্রেডাররা জার্মানির প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI), ইউরোজোনের বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবণতা, এবং অঞ্চলটির ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর মনোযোগ দেবে। অন্য কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে M3 মানি সাপ্লাইয়ের পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক বুলেটিন। ভোক্তা আস্থা সূচকের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে—সূচকটির পতন ঘটলে সেটি পারিবারিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে প্রতিফলিত করতে পারে, যা ভোক্তাদের মধ্যে ব্যয় করার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে পারে। বেসরকারি ঋণের প্রবণতাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত করতে পারে, যা একটি ইতিবাচক অর্থনৈতিক সংকেত। তবে, অতিরিক্ত দ্রুত ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং অ্যাসেট বাবলের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
জার্মানির উৎপাদন মূল্য সূচক বা PPI মূল্যস্ফীতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা ব্যবসায়িক খরচের চাপ এবং সেই খরচ গ্রাহকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেবে। এই সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সংকেত দিতে পারে।
সবশেষে, ইসিবির অর্থনৈতিক বুলেটিন ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা দেবে এবং সম্ভবত ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1571-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1533-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1571-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1514-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1533 এবং 1.1571-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1514-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1486-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1533-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1514 এবং 1.1486-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।