empty
 
 
30.06.2025 07:01 AM
৩০ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। দিনের অধিকাংশ সময় ধরে এই পেয়ারের মূল্য একটি সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে ছিল, কারণ তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। শুধুমাত্র মার্কিন সেশনের শুরুতে আগের দিনের সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করার একটি প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।

উল্লেখযোগ্য যে, ডলারের নতুন দরপতন সম্ভবত PCE সূচক এবং মার্কিন ভোক্তাদের ব্যক্তিগত আয় ও খরচ সম্পর্কিত প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যেগুলো এইবার কিছুটা তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল দেখিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:

  • PCE সূচক 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পরোক্ষভাবে কোর কনজাম্পশন ইনফ্লেশনের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
  • ব্যক্তিগত ব্যয় 0.1% হ্রাস পেয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ভোক্তারা ব্যয়ের চেয়ে সঞ্চয়ের দিকে ঝুঁকছে।
  • ব্যক্তিগত আয় 0.4% হ্রাস পেয়েছে, যা একটি নেতিবাচক সংকেত।

ফলস্বরূপ, এমনকি তুলনামূলক কম গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও ডলার পুনরায় চাপের মুখে পড়ে। ডলার এখনও মৌলিক প্রেক্ষাপট থেকে খুব কম সহায়তা পাচ্ছে এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের কোনো নিম্নমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এই পেয়ারের মূল্য নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌছাচ্ছে, কিছুক্ষণ সেখানে কনসোলিডেশন করছে, তারপর আবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, শুক্রবার একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.1740 লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়, যা দিনের শেষে 1.1740–1.1745-এর রেজিস্ট্যান্স জোনে রূপান্তরিত হয়, যেখান থেকে গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য মোট তিনবার রিবাউন্ড হয়েছিল।

এত শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এই পেয়ার বিক্রয় করা কতটা যৌক্তিক ছিল তা বলা কঠিন, তবে দৈনিকভিত্তিক লেভেলগুলোতে এই পেয়ারের মূল্য পুলব্যাক করতে পারে। যেকোনো ক্ষেত্রে, যদি নতুন ট্রেডাররা এই সিগন্যাল অনুসরণ করে ট্রেডিং করে থাকে, তাহলে তারা সম্ভবত মুনাফা করতে পেরেছে।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

১-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনেও এটি চলমান থাকবে। ট্রাম্প এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, এই বিষয়টিই ডলারের নিয়মিত দরপতনের জন্য যথেষ্ট। এমনকি ট্রাম্প-সম্পর্কিত কোনো খবরের অনুপস্থিতিতেও, ডলারের মূল্য স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রাখতে পারছে না। বাণিজ্যযুদ্ধ, মার্কিন অর্থনৈতিক দুর্বলতা, এবং ট্রাম্প ও ফেডের মধ্যে দ্বন্দ্ব এই বিষয়গুলো ডলারের ওপর আস্থা নষ্ট করছে।

সোমবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য সম্ভবত আবারও 1.1740–1.1745-এর রেজিস্ট্যান্স জোন ব্রেক করার চেষ্টা করতে পারে। যদি প্রথম প্রচেষ্টায় তা না হয়, তাহলে পরবর্তী প্রচেষ্টায় এটি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

৫-মিনিট চার্টে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর দিকে দৃষ্টি রাখুন: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1802, 1.1851।

সোমবারের তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে জার্মানির রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ও মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সেইসাথে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের আরেকটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল এবং অনুষ্ঠেয় ইভেন্ট এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টে সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.