আরও দেখুন
যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি ঘিরে মার্কিন ডলারের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক সেই সময় বোস্টন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্স আবারও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সুদের হার কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধৈর্য ধারণ করা উচিত। তার মতে, কর্পোরেট ও গৃহস্থালির সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল অর্থনীতিতে শুল্কের প্রভাব কিছুটা লাঘব করতে পারে।
কলিন্স বলেন, "অবিচলভাবে ইতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ফেডকে নতুন আসা প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়নের সুযোগ দিয়েছে, তাই আমার দৃষ্টিতে, এই মুহূর্তে আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে সচেতনভাবে ধৈর্যশীল থাকা উচিত।"
উল্লেখযোগ্য যে, চলতি বছরে ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে, ফেড প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসীভাবে নীতিগত পরিবর্তনের—বিশেষত বাণিজ্যখাতের—পরিণতি দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তার ধারণা, শুল্ক মূল্যস্ফীতি বাড়াবে, আর সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন সেই আশঙ্কারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই 'অপেক্ষা করে দেখার' অবস্থান অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ একে অযৌক্তিক মনে করছেন, তাদের মতে বর্তমানে উচ্চ সুদের হার অর্থনৈতিক মন্দা ডেকে আনতে পারে। আবার কেউ কেউ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বিবেচনায় ফেডের এই সতর্ক অবস্থানকে যৌক্তিক বলেই মনে করছেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল অনুযায়ী, জুনে মূল মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম বেড়েছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কলিন্স বলেন, "সামগ্রিকভাবে, আর্থিক প্রতিবেদনের ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলোর মুনাফার পরিমাণ হ্রাস এবং ভোক্তাদের উচ্চ মূল্যের মধ্যেও ব্যয় চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা শুল্কের প্রভাব কিছুটা নমনীয় করতে পারে। ফলে, শ্রমবাজার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত থাকতে পারে।"
কলিন্স আরও জানান, বোস্টন ফেড একটি নতুন মডেল তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে সীমান্তমূল্য বৃদ্ধির ফলে ঘরোয়া ভোক্তা মূল্যে এর প্রভাব পরিমাপ করা যায়। তিনি আরও বলেন, বছরের শেষ নাগাদ ফেডের পছন্দের মূল মুদ্রাস্ফীতি সূচক প্রায় 3%-এ পৌঁছাতে পারে, এরপর তা আবার কমে আসবে। মে মাসে এটি ছিল 2.7%।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস
বর্তমানে, ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। কেবল তখনই 1.1690 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1720 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা 1.1770-এর লেভেলেই রয়ে গেছে। যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.1590 এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তাহলে 1.1550-এর লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো, অথবা 1.1495 থেকে লং পজিশন নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস
পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো এই পেয়ারের মূল্যের 1.3420 লেভেল রেসিস্ট্যান্স ব্রেক করা। কেবলমাত্র মূল্য এই লেভেল অতিক্রম করলে তারা 1.3464-এর লেভেলে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যদিও মূল্যের পক্ষে এই লেভেল অতিক্রম করা কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে GBP/USD-এর ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে এবং পেয়ারটির মূল্য 1.3335 এবং সম্ভাব্যভাবে 1.3290 লেভেলের দিকে চলে যাবে।