empty
 
 
30.07.2025 10:01 AM
ফেড সম্ভবত কোনো স্পষ্ট বার্তা দেবে না

যখন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, তখন অনেক বিনিয়োগকারী জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত আশা করলেও, তারা হতাশ হতে পারেন।

আজ ফেডারেল রিজার্ভ পরপর পঞ্চমবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এক বা একাধিক সদস্য ভিন্নমত পোষণ করলে তা এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির কিছু সদস্য ভিন্ন কৌশলের পক্ষে থাকলেও সেটি সামগ্রিক নীতিগত অবস্থানে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।

This image is no longer relevant

সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে থাকবে অর্থনীতিকে প্রণোদনা দেওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা। একদিকে, উচ্চ সুদের হার ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগকে হ্রাস করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমাতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে — বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকের আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ফলে ফেডের চেয়ারম্যান হয়তো এই মুহূর্তে সকল বিকল্প হাতে রাখতেই পছন্দ করবেন — যতক্ষণ না অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকনির্দেশনা এবং যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা আসে।

মঙ্গলবার ব্যাংক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিল নেলসন এক মন্তব্যে বলেছেন, "এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি এবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। মূল প্রশ্ন হলো, তারা কি সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের ব্যাপারে আরও প্রস্তুতির বার্তা দেবে কি না।"

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুদের হার কমানোর আহ্বান অব্যাহত রেখেছেন। সম্ভাব্যভাবে পাওয়েলের কাছে ফেডের ২.৫ বিলিয়ন ডলারের সদর দপ্তর সংস্কার প্রকল্প সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হতে পারে — যা বর্তমানে রিপাবলিকানদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, এই সপ্তাহের পর এই বছরের ক্যালেন্ডারে ফেডের আর মাত্র তিনটি নীতিনির্ধারণী বৈঠক রয়েছে। জুন মাসে, ফেডের কর্মকর্তারা ২০২৫ সালে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, পাওয়েল সেই দিকেই প্রত্যাশা কতটা এগিয়ে নিতে পারেন। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে ৬০%-এর বেশি হিসেবে মূল্যায়ন করছেন, তবে বৈঠকের পূর্ববর্তী প্রতিবেদন বিশ্লেষণের আগেই ফেডের সদস্যরা এই সম্ভাবনাকে আরও বাড়াতে আগ্রহী নাও হতে পারেন।

নীতিনির্ধারকগণ এখনো দুটি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাবেন — যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের প্রতিবেদন, যেটি এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি, তারা মুদ্রাস্ফীতি, ভোক্তা ব্যয় এবং আবাসন খাত সম্পর্কেও অতিরিক্ত প্রতিবেদন হাতে পাবেন।

বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1580 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1620 লেভেল টেস্টের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1635 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মার্কেট বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1660-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1560-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে। অন্যথায়, 1.1510 লেভেল রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে অথবা 1.1480 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল কাঠামোর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3365 রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3385-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে — যদিও সেই লেভেলের উপরে উঠতে পারাটাও এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3415-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা 1.3330-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, মূল্য ওই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3295 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3255 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.