empty
 
 
15.09.2025 09:52 AM
ট্রাম্প ফেডের কাছ থেকে বড় পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছেন

এই সপ্তাহে মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য অস্থিরতার মুখোমুখি হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তিনি আশা করছেন ফেডারেল রিজার্ভ এই সপ্তাহে আরও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নেবে। হোয়াইট হাউস এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে এই চাপ সৃষ্টি করেছে, যেখানে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নয় মাস পর প্রথমবারের মতো নীতিমালা নমনীয় করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

This image is no longer relevant

রবিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "আমার মনে হয় এখনই বড় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। এখনই পরবর্তী ধাপে যাওয়ার সময়।"

ট্রাম্পের মন্তব্য ছাড়াও, বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই 25 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যদিও কিছু বিশ্লেষক আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ফেডারেল ফান্ডস ফিউচারস নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়ে আস্থার বৃদ্ধি নির্দেশ করছে, যা ডলারের ওপর অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে চাপ সৃষ্টি করছে। তবে ফেড সম্ভবত রাজনৈতিক চাপ থেকে নিজেদের মুক্ত থাকার বিষয়টি জোর দিয়ে উল্লেখ করবে এবং প্রেসিডেন্টের ইচ্ছার তুলনায় আরও সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে পারে।

সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের পর প্রকাশিত মন্তব্যগুলোও ডলারের মূল্যের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করবে। যদি ফেড আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার প্রস্তুতির বিষয়ে স্পষ্ট সংকেত দেয়, তবে ডলার দ্রুত দরপতনের শিকার হতে পারে। অন্যদিকে, যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোর দিয়ে বলে যে বর্তমান সুদের হার হ্রাস এককালীন পদক্ষেপ এবং নতুন কোনো চক্রের সূচনা নয়, তাহলে ডলার সাময়িকভাবে সহায়তা পেতে পারে।

ফেড কর্তৃক 17 সেপ্টেম্বর সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা দুর্বল শ্রমবাজার, স্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি এবং ঋণ গ্রহণের খরচ কমাতে ট্রাম্পের নজিরবিহীন চাপের প্রেক্ষাপটে ঘটবে। অর্থনীতিবিদদের সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট হ্রাস করা হবে।

উল্লেখ করা দরকার যে ট্রাম্প কয়েক মাস ধরে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছেন এবং বারবার তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের ফলে উদ্বেগ বেড়েছে যে শ্রমবাজার আরও গভীর মন্দায় পর্যবসিত হতে পারে, যা ভোক্তা ব্যয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। একই সময়ে, মুদ্রাস্ফীতি এখনও ফেডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে অবস্থান করছে এবং গৃহীত শুল্ক নীতি খরচ বাড়ালে এটি আরও বাড়তে পারে, যা ফেডের কিছু কর্মকর্তাকে তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন করছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা এবং বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে বাড়তি উদ্বেগের মধ্যে হোয়াইট হাউস ও ফেডের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে উচ্চ সুদের হার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমানো প্রয়োজন। অপরদিকে, পাওয়েল বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে ফেড স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, এবং তাদের সুদের হার-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ভিত্তিতে নেওয়া হয়, রাজনৈতিক চাপে নয়। তিনি এটিও উল্লেখ করেছেন যে শ্রমবাজার শক্তিশালী এবং বেকারত্ব কম থাকা অবস্থায় সুদের হার কমানো হলে তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে এবং অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, ফেডের নীতিমালার সম্ভাব্য পরিবর্তনের যেকোনো ইঙ্গিতের প্রতিই মার্কেট এখন অত্যন্ত সংবেদনশীল।

এছাড়াও উল্লেখ করা দরকার যে পাওয়েলের মেয়াদ 2026 সালের মে মাসে শেষ হবে, এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার উত্তরসূরিদের বিবেচনা করা শুরু করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট, ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং ফেডের সাবেক গভর্নর কেভিন ওয়ার্শকে প্রধান তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1745 লেভেলের উপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1780 পৌঁছানো সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1813 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1866। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.1700 লেভেলের কাছে থাকা অবস্থায় আমি এই পেয়ার ক্রয়ের উল্লেখযোগ্য আগ্রহের আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে মূল্যের 1.1665-এ নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ড ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3590-এর তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3615-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যদিও মূল্যের আরও উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3645। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3525 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3495-এর দিকে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3458 পর্যন্ত দরপতন আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.