empty
 
 
26.09.2025 08:05 AM
২৬ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারেরও তীব্র দরপতন ঘটেছে। মনে করিয়ে দিই, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সর্বশেষ নিম্নমুখী মুভমেন্টের যথেষ্ট কারণ ছিল। আমরা বলতে পারি না যে এই কারণগুলো সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট ছিল—ট্রেডাররা অনেকগুলো ফ্যাক্টর পাউন্ডের বিপক্ষে ব্যাখ্যা করেছে, যদিও এগুলো অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা যেত। তবে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল কেবল মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করেছে। দেশটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি +3.8% এসেছে, আর ডিউরেবল গুডস অর্ডার 2.9% বৃদ্ধি পেয়েছে—যা উভয় ক্ষেত্রেই পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ফলাফল। তাই এই ইতিবাচক ফলাফল ডলারের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে ত্বরান্বিত করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান নিম্নমুখী প্রবণতার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে এবং ট্রেন্ডলাইনের মাধ্যমে আবারও নিশ্চিত হয়েছে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, গত সপ্তাহে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পেছনে বেশ কিছু নির্দিষ্ট ঘটনা কাজ করেছে। ডলারের মূল্যের ধারাবাহিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে আরও ইতিবেদন প্রতিবেদন প্রয়োজন। ডলার এখনো একটি স্বাধীন প্রবণতা গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত নয়।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় সেশনে ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.3466 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড হয়েছিল, যা সকাল থেকেই শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ করে দেয়। মার্কিন সেশন শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য সহজেই 1.3413–1.3421 এরিয়া ব্রেক করেছে, এবং দিনের শেষে মূল্য 1.3329–1.3331 জোনে পৌঁছে গেছে। সুতরাং, নতুন ট্রেডাররাও মাত্র একটি শর্ট ট্রেড দিয়েই তুলনামূলকভাবে সহজ একটি সিগন্যাল থেকে প্রায় 120 পিপস মুনাফা করতে পারতেন।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার গঠন অব্যাহত রেখেছে। আমরা যেমনটি আগেই বলেছি, দীর্ঘমেয়াদে ডলারের মূল্যের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের কোনো ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদন সত্যিই মার্কিন মুদ্রাকে সহায়তা করেছে, এবং ডলারের দর বৃদ্ধিও যৌক্তিক ছিল। তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারের পক্ষে নেই।

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের আরও দরপতন অব্যাহত রাখতে পারে—তবে এর জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে, যা আরও দরপতন ঘটাতে সহায়তা করবে। যদি মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া ব্রেক করে, তবে এটি 1.3259 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন পজিশন ওপেন করার সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত হবে। বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্য এই জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, তাই 1.3413–1.3421 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশনও প্রাসঙ্গিক।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য দুটি প্রতিবেদনই সজাগ মনোযোগের দাবিদার: কোর PCE মূল্য সূচক এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। উভয় প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেই কেবল পূর্বাভাসের তুলনায় ফলাফল ভিন্ন হলে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.