empty
 
 
29.09.2025 08:34 AM
২৯ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় এবং সোমবার রাতের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্য স্থানীয় ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে উঠে যায়। ফলে বিয়ারিশ বা নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে গত দেড় সপ্তাহ ধরে পাউন্ড একের পর এক নেতিবাচক খবরে চাপে ছিল, যার ফলে এর দরপতন হয়—যা অনেক ট্রেডারই আশা করেননি। তবে সামগ্রিকভাবে GBP/USD পেয়ারের মৌলিক পটভূমি অপরিবর্তিত রয়েছে, তাই আমরা মধ্যমেয়াদে ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতনের আশা করছি না।

শুক্রবার মার্কিন ডলার চাপের মুখে পড়ে যখন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচক আবারও হ্রাস পায়—যা গত কয়েক মাস ধরে চলমান একটি প্রবণতা। এদিকে, সোমবার পর্যন্ত পাউন্ডের পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। মনে রাখা দরকার, মাত্র কয়েক দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার মধ্যে ওষুধ, আসবাবপত্র এবং ট্রাকও অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাণিজ্যযুদ্ধ শুধু চলছেই না, বরং তা আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে, এবং প্রতিটি নতুন শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এর ফলে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার এশিয়ান সেশনে একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে সিগন্যাল গঠনের লেভেল থেকে মাত্র 10 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। এটি স্পষ্টভাবে নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। মার্কিন সেশনে এই পেয়ারের মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3413–1.3421-এ পৌঁছে যায় এবং কমপক্ষে 60 পয়েন্ট মুনাফা করা গেছে।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ বা নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, আমরা দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশে অস্থায়ীভাবে ডলারকে সহায়তা পেয়েছিল, এবং এটির দর যথাযথ কারণে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে সামগ্রিকভাবে মৌলিক পটভূমি এখনও মার্কিন গ্রিনব্যাকের জন্য অনুকূল নয়।

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ নিম্নমুখী প্রবণতা ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া ব্রেক করে ওপরে উঠেছে, যা ট্রেডারদের নতুন লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দিচ্ছে। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3466–1.3475-এ নির্ধারণ করা হয়েছে।

5-মিনিট চার্টে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। সোমবার যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট না থাকায় সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের সীমিত পর্যায়ের অস্থিরতা বজায় থাকবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.