empty
 
 
11.08.2025 10:07 AM
ডলার চাপের মধ্যে রয়েছে

এই শরতের শুরুতেই ফেডারেল রিজার্ভের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক কর্মকর্তার সুদের হার কমানোর অভিপ্রায় প্রকাশ করায় সেটি মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ০ অ্যাসেটক সমর্থন দিচ্ছে।

তবে অনেক কিছুই যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত আসন্ন নতুন প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে। এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনে সম্ভবত দেখা যাবে যে জুলাই মাসে মার্কিন ভোক্তারা মূল মুদ্রাস্ফীতিতে সামান্য বৃদ্ধি অনুভব করেছেন, কারণ খুচরা বিক্রেতারা ধীরে ধীরে উচ্চতর আমদানি শুল্কের আওতাভুক্ত বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। মূল্য বৃদ্ধির এই সামান্য কিন্তু লক্ষ্যণীয় ধারা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বড় মুদ্রাস্ফীতির ঢেউ আসার প্রথম ইঙ্গিত হতে পারে।

This image is no longer relevant

আমদানি শুল্কের কাঠামো এবং ভোক্তা বাজারে এর প্রভাবের নিবিড় বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে বাণিজ্য নীতি, উৎপাদন খরচ এবং চূড়ান্ত ভোক্তা মূল্যের মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। নিজেদের মুনাফার মার্জিন বজায় রাখতে খুচরা বিক্রেতারা বাড়তি খরচের একটি অংশ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে বাধ্য হয়, যা অবশ্যম্ভাবীভাবে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির স্তরে প্রভাব ফেলে। তবে আমদানি শুল্ক মুদ্রাস্ফীতিকে প্রভাবিত করার একমাত্র কারণ নয়। শ্রমিক সংকট এবং কাঁচামালের উচ্চ মূল্যও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করছে এবং ফলস্বরূপ ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মূল ভোক্তা মূল্য সূচক, যা খাদ্য ও জ্বালানির অস্থির মূল্য বাদ দিয়ে অন্তর্নিহিত মুদ্রাস্ফীতির একটি সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, তা জুলাই মাসে 0.3% বাড়বে বলে অনেক অর্থনীতিবিদ আশা করছেন। জুন মাসে মূল ভোক্তা মূল্য সূচক আগের মাসের তুলনায় 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও এটি চলতি বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি হবে, তবে সস্তা পেট্রোলের কারণে জুলাই মাসে সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধিকে 0.2%-এ সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি আগামীকাল প্রকাশিত হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবর্তিত উচ্চতর মার্কিন শুল্ক এখন গৃহস্থালি পণ্য ও অবসর বিনোদন সামগ্রীর মতো বিভাগে ভোক্তাদের প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। তবে মূল পরিষেবার ক্ষেত্রে পৃথক মুদ্রাস্ফীতির এখনো মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে। তবুও, অনেক অর্থনীতিবিদ আশা করছেন যে বাড়তি আমদানি শুল্ক ধীরে ধীরে ভোক্তাদের চাহিদাকে চাপের মধ্যে ফেলবে।

এটাই সেই দোটানা যা ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা মোকাবিলা করছেন, যারা এই বছর সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছেন এই আশায় যে শুল্ক নীতি স্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করবে কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধাওরণা পাওয়া যাবে।

একই সময়ে, শ্রমবাজার — তাদের দ্বৈত ম্যান্ডেটের দ্বিতীয় স্তম্ভ — গতিশীলতা হারানোর লক্ষণ দেখাচ্ছে। শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার সাথে সাথে অনেক কোম্পানি মূল্য সংবেদনশীল ভোক্তাদের ওপর শুল্কের প্রভাব সীমিত করার উপায় খুঁজছে। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনে জুলাই মাসে খুচরা বিক্রয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাবে, কারণ প্রণোদনার পদক্ষেপে গাড়ি বিক্রি বেড়েছে এবং অ্যামাজন প্রাইম ডে সেল অনলাইনে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। এই ধরণের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আরও একটি কারণ যুক্ত হবে।

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.1690-এর উপরে ব্রেকআউট নিশ্চিত করতে হবে। কেবল তখনই 1.1730 লেভেল টেস্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1760 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1800-এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, আমি শুধুমাত্র মূল্য 1.1655-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তা আশা করব। সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না থাকলে 1.1610-এর নিম্ন লেভেল রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদেরকে মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3470 ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3502-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, যার ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3540 লেভেল। এই পেয়ারের মূল্য কমে গেলে, বিক্রেতারা 1.3420 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে একটি বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3375-এর দিকে যাবে, যেখানে 1.3350-এ নেমে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.